যে তুমি ফোটাও ফুল ঘ্রাণে ভরো ব্যাপক সবুজ,
জমিতে বিছিয়ে দাও ধান শিম খিরাই তরমুজ
কুমড়োর সুস্বাদ, যে তুমি ফলাও শাখে ফজলি আম
কামরাঙা পেয়ারা, বাতাসে দোলাও গুচ্ছগুচ্ছ জাম,
যে তুমি বহাও নদী, পাললিক নদীর ভেতরে
লালনপালন করো ইলিশ বোয়াল স্তরেস্তরে,
যে তুমি ওঠাও চাঁদ মেঘ ছিঁড়ে নীলাকাশ জুড়ে
বাজাও শ্রাবণ রাত্রি নর্তকীর অজস্র নূপুরে,
যে তুমি পাখির ডাকে জেগে ওঠো, এবং নিশ্চুপে
বালিকার সারা দেহ ভরে দাও তিলেতিলে রূপে
আর কণকচাপার গন্ধে আর ভাটিয়ালি গানে,
যে তুমি বইয়ে দাও মধুদুগ্ধ গাভীর ওলানে
খড় আর ঘাস থেকে, যে তুমি ফোঁটাও মাধবী
আর অজস্র পুত্রকে দাও ছন্দ করে তোলো কবি,
যে তুমি ফোটাও ফুল বনে বনে গন্ধভরপুর
সে তুমি কেমন করে, বাঙলা, সে তুমি কেমন করে
দিকে দিকে জন্ম দিচ্ছো পালেপালে শুয়োরকুকুর?