সেই মেয়েটা আর পাহাড়ে যায়নি কোনোদিন, খরস্রোতা দেখতে চায়নি।
নতুন সংসার, বর, সব মিলে গোছাতে শুরু করেছে।
হয়তো এরকমটাই চেয়েছিল, তাই অতীত ছেড়ে বর্তমানে বেশ আনন্দিত,
তবে বছর ঘুরতেই কতরকম নালিশ শোনে বরের।
অন্য নারীর পিঠে হাত রেখে যুগলবন্দী দেখায় লোকে, ভুল করে হয়তো!
তাও সে বিশ্বাস করেনা, শান্ত গলায় বরকে বলে,
“সবাই বলে তুমি নাকি বড্ড ভীষণ পর, বলোতো কেমন লাগে?
জানি তুমি এমন নয়, তবুও সন্দেহ-তো জাগে!”
এই বিয়ের ঠিক ক’টা মাস আগেই পাহাড় থেকে ফিরেছিল মেয়েটা,
সেই সাজানো দার্জিলিং থেকে। বছর তিনেকের প্রেম ক্ষুণ্ণ করে ফিরেছিল,
বাবার ঠিক করা পাত্রের রূপ-গুণ শুনে তাকে যেনো বেশিই পছন্দ করেছিল সে;
আর পাহাড়ি রাস্তার মাঝে প্রাক্তনের সঙ্গে শেষ দেখা করার সময় বলে এসেছিল,
“ভালো থেকো, আমি আর ফিরবো না।”
ছেলেটা হেসে উত্তর দিয়েছিল, “আমি জানি তুমি পাহাড় ভালোবাসো,
অন্যকিছু তোমাকে পাহাড়ের চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারবে না।
পরে কখনও আবার পাহাড়ে ফেরার প্রয়োজন পড়লে এসো,
আমার চোখের দিকে তাকিয়ো, একটা গোটা দার্জিলিং নিয়ে আমি তোমার অপেক্ষা করবো”।