বৃষ্টির বীজকে ছাদের উপরে শেষ শ্রাবণের শীষে
ঘুম পাড়িয়ে মেঘ এলো কবির ঘরে ।
কবি বললেন– কবিতার জন্মকাল থেকে আজ অবধি
যত মেঘ জমেছে , একসঙ্গে গলে’ গেলে
মহাপ্রলয় হবে । তাই আমি আর মেঘকে
ডাকি না । তুমি এলে কিভাবে ?
মেঘ বললো — আমার মেঘে কোনো বৃষ্টি নেই ।
কবি শুকনো লিকলিকে মেঘকে সোফায়
একটু এলিয়ে নিতে বললেন ।
রাত পেরিয়ে ভোর হতেই ঝমঝমিয়ে এলো বৃষ্টি ।
ধড়মড়িয়ে কবি উঠে জানালার শার্সি বন্ধ
করতে করতে মেঘকে ধমক দিলেন
— তুমি যে বললে তোমার মেঘে বৃষ্টি নেই !
মেঘ আমতা আমতা করে উত্তর দিলো
— সত্যিই নেই , তবে— বলেই ছুট্ ছাদের উপরে ।
পিছনে পিছনে কবি । বৃষ্টি তখন অঝোরে
ভিজছিলো নিজেরই বৃষ্টিতে । কবি , কবিতাকে
বৃষ্টির সঙ্গে নাচতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন
— তুমি কখন এলে ? কবিতা বললো– আমি তো
বৃষ্টির ভেতরেই ছিলাম , বৃষ্টির বীজে ।
— তাহলে আমার কাছে কে ছিলো ?
— কেন , খাতা আর পেন !
— আর মেঘ ?
— মেঘই তো বৃষ্টির ভাবনা হয়ে গলে’ পড়ছে
ঝমঝম করে বৃষ্টির গায়ে আর আমি সৃষ্টি
হচ্ছি বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায় ।
কবি রুগ্নকন্ঠে ফিসফিস করে বললেন
— আর আমি ?
বৃষ্টি থেমে গেছে , কবি ঘুমিয়ে । দরজায়
বেল বাজার শব্দ । কবি জিজ্ঞেস করলেন
— কে ?
— আমরা , মেঘ বৃষ্টি এবং কবিতা ।