বাদলের চিঠি হাতে এলো আজ এক ফালি মেঘ খামে,
প্রখর নিদাঘে স্বস্তি বার্তা বুঝি এলো ধরাধামে।
লিখেছে আষাঢ় আর দেরি নেই আসবো পৃথ্বী ‘পরে,
শ্রাবণের সাথে হয়েছে আলাপ যাবো এক এক করে।
সবুর করেছো অনেক দিনই আর কয়দিন থাকো,
দেখবে ধরায় আসবো যখন নিদাঘ থাকবে নাকো।
অলিকুল এসে বলল সেদিন খরায় শুকায় মধু,
নীল পাখনার পতাকা উড়িয়ে বলে ত্বরা এসো বঁধু।
চাতক বলল তৃষিত প্রাণেতে ডাকি কত নভে চেয়ে,
নিষ্ঠুর তুমি পিয়াস মিটাতে এলে না তবুও ধেয়ে।
তরুলতা প্রাণী অভিযোগ ক’রে বারতা পাঠায় বায়,
কোন্ অপরাধে দেখা নাহি দাও দহনে পরান যায়।
বার্তা পৌঁছে পবন বলল তাপে জ্বলে যায় তন,
রিমঝিম রবে ঢালো সুধা বারি যাচি তব পরশন।
চাষি করজোড়ে ডাকে সকাতরে বলে বারিধারা দাও,
ফুটিফাটা মাটি কষ্টের চাষ দেখতে কি নাহি পাও?
পিক সখা প্রায় কুহু কুহু রবে জানায় দুঃখ কথা,
বলে বাসা নাই দহন জ্বালায় ছায়া খুঁজি যথা তথা।
সবার কাতর আহ্বান শুনে দামিনীর খুশি রাশি,
বলে চলো যাই ধরাতল মাঝে বর্ষণ করে আসি।
তাই মাঝে মাঝে করি ঝমঝম বারিপাত খুশি মত,
ভাবি যদি মেলে খানিক স্বস্তি বাঁচে জীবকুল যত।
নিমগ্ন হয়ে চিঠিখানি পড়ি হঠাৎ জলজ ছোঁয়া,
দেখি মেঘদূত ফিরে যায় বলে নিরাশ হয়ো না প্রিয়া।