কমা -সেমিকোলন- যতি চিহ্নের উপর ভরসা পাচ্ছি না আর,
বুকের ভেতর হয়েছে জমা ,না বলা কথার পাহাড়,
জীবনের বৃহত্তম অঙ্কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসম বন্টনের ক্ষেত্রফল।
তোমার রুপের অহংকার,ক্ষমতার দম্ভ, আমিত্বের নির্লজ্জ প্রকট আস্ফালনে,
নিজের অজান্তেই পরিণত হয়েছিলাম জীবন্ত দাবার ঘুঁটি তে;
নিক্ষেপিত হয়েছিলাম ঠিকানা হীন ব্লাকহোলে,নব্য শকুনির কেরামতিতে।
আমার ভালোবাসার মানুষগুলো আচ্ছাদিত হয়েছিল উপেক্ষার চাদরে,
ছন্দহীন জীবন টেনে নিয়ে চলছিলাম ঘানীর বলদের মতো,
আধুনিক স্বেচ্ছাচারের অন্ধগলিতে যন্ত্রণাতাড়িত প্রতিটি রোমকূপে ,তখন আমার মুক্তির আকুতির সহবাস,
দিকভ্রান্ত নক্ষত্র প্রবল ভাবে দেখতে চেয়েছিল আকাশ।
ক্ষতবিক্ষত শরীর মন জুড়ে নেমে আসতে চাইতো
কান্নার তিস্তা,
বহুযুগের পৌরুষের বাঁধে যার আছড়ে পড়া অনেক সময়ই হতো দুস্কর।
মধ্যবিত্তের সংকোচিত হাতে জমছিল কষ্ট সমুদ্র সমান,
যে প্রেম প্রতিদিনের প্রত্যাখান সয়,তার বুকে আগুন
জমা হয় সবার অগোচরে,
মিথ্যের আবরন সরিয়ে, বুনতে এক স্বপ্ন-পূরণের গল্প,
আমার জন্য একটু সুখ কিনতে তাই আজ হয়েছি কক্ষচ্যুত!!
তোমার আমার সখ্যতার বেলাভূমিতে সৃজন করেছি এক চিলতে নিজস্ব ছাদ,
নৈঃশব্দ্যের চাদর টেনে আজ আমি দলছুট,নাম লিখিয়েছি বিরামহীন ছুটি তে।
অবশেষে মিটেছে ক্ষোভ বিক্ষোভ, খুঁজে পেয়েছি আলোর ঠিকানা, ভেসেছি আবার মুক্তির নদীতে।