শিউলি কুড়োতে কুড়োতে মনে পড়ে যায় কত কথা
কত হাসি, গান, আনন্দে ভরে থাকা জীবনের পাতা।
এইতো সেদিন ভোরে মায়ের সদ্যস্নাতা পদ্ম-মুখখানি
লালাপেড়ে শাড়ি,সিঁথেয় সিঁদুর,আলতাপড়া পা-দুখানি।
দুহাতে সাদা শাঁখা লাল পলা পড়া হাতে ফুলের সাজি–
মায়ের পবিত্র মুখ , চোখে ভাসে, ভাবি এইতো আজই!
বহুকাল হয়ে গেল চলে গেছে মা আমার পরলোকে —তবু বারেবারে মন বলে ,না –না–রয়েছেই মা ইহলোকে।
প্রাণের টান মায়ের মতো,কোথায় পাবে বলো—
এ’পৃথিবীতে মা ছাড়া কি কেউ বাসবে এতো ভালো?
তুমি, আমি সকলে মিলে মায়ের আদর যাচি
মায়েরে কি আমরা সবাই বুকের মাঝে রচি?
হয়তো যেদিন ইচ্ছে হলো মায়ের কাছে আসি
অন্য কখনো খুশিমতো নিজেকে নিজেদের নিয়ে মাতি
মা ,সে তো সন্তানের তরে , সন্তানের দুঃখ কষ্টের চিরসাথী।
মা থাকতে বুঝি নাতো মায়ের জীবনের ব্যথা—
একদিন ঠিকই ভাবতে হবে শুধুই মায়ের কথা।
হয়তো সেদিন দূর আকাশে হাজার তারার মাঝে,
কেঁদে কেঁদে আকুল হয়ে খুঁজবো, কোন তারায় মা রাজে?
জীবনের এই খেলাঘরে মা যে কেবল সন্তান অন্ত প্রাণ!
এসো আজকের শুভ দিনে শপথ নেই মায়েরেই মানব মহান।।