Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » মাননীয় বিচারকমণ্ডলী || Anish Deb

মাননীয় বিচারকমণ্ডলী || Anish Deb

এখন হরিহর তলাপাত্রের মামলাটার আদ্যোপান্ত বিবরণ আমি আপনাদের সামনে পেশ করব। আপনারা তো জানেন, হরিহরবাবু আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়েছে কি না তা এখনও অবশ্য ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কারণ কাঠগড়ার পাশে শোয়ানো অসাড় দেহটা দেহ না মৃতদেহ সেটা নিশ্চিতভাবে কোনও ডাক্তারের পক্ষেই বোধহয় বলা সম্ভব নয়। এখানে ডাক্তার আছেন? ভালো কথা। ও, আপনিই ডাক্তারবাবু? কী দেখলেন? বেঁচে আছে! আশ্চর্য! যাক, তা হলে মামলার শুনানি চলতে পারে।

হুজুরগণ, এই হরিহর তলাপাত্রের মতো মানুষগুলো সত্যিই আশ্চর্য! কারণ, অনেক রকম সঙ্কটকে ফাঁকি দিয়ে এরা দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। এরা জলে ডোবে না, আগুনে পোড়ে না, বন্যা অথবা খরা এদের শেষ করতে পারে না, দুর্ভিক্ষে কিছু হয় না, এমনকী দিনের পর দিন না খেয়েও এরা দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। আমাদের দেশের সবরকম অনশন ধর্মঘটের জন্য এরাই সবচেয়ে উপযুক্ত। সত্যি বলতে কি, এদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বোধহয় ভগবানকেও ভাবিয়ে তোলে। অবশ্য জানি না, সত্যি-সত্যি তিনি এসব ভাবার অবসর পান কি না।

এখন কথা হল, এরকম সাংঘাতিক যার সহ্যক্ষমতা সেই লোক এরকম অবস্থায় পড়ল কেমন করে? আর পড়ল বলেই না আজ তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার জঘন্য চেষ্টার সরকারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মি লর্ডস, আত্মহত্যার আসল কারণটা জানতে গেলে আমাদের আর-একটা জিনিস আগে জেনে নিতে হবে। সেটা হল, হরিহর তলাপাত্রের জীবন, তাঁর জীবনযাত্রার ধাঁচ। যদি অনুমতি করেন, তাহলে খুব সংক্ষেপে সেটা আপনাদের শুনিয়ে দিতে পারি।

তলাপাত্রের শক্ত ভাঙা চোয়াল, কপালের ভাজ, আঙুলের গঠন আর খসখসে শুকনো চামড়া দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন উনি একটা ছাপোষা চাকরি করতেন। বিয়ে? হ্যাঁ, বিয়েও করেছেন। ওই যে, এক কোণে সাদা শাড়ি পরে বসে রয়েছে ওঁর বিধবা না, মানে সধবা স্ত্রী। পাশেই বসে আছে ওঁদের অবিবাহিতা মেয়ে রুমু। আর কেষ্ট নামে একটি ছেলেও আছে, তবে সে আদালতে আসেনি, আসতে পারেনি। কারণ সবাই চলে এলে ঘর পাহারা দেবে কে? তা ছাড়া কেষ্ট অ্যানিমিয়ায় ভুগছে। মাসে-মাসে ওর শরীরে দু-তিন বোতল রক্ত দিতে হয়। হ্যাঁ, সরকারি হাসপাতাল থেকে বেশ সস্তায়ই রক্তের ব্যবস্থাটা হয়ে যায়।

তো যা বলছিলাম। হরিহর তলাপাত্র মোটামুটি মাইনে পেতেন। তাতে মাসের গোটা কুড়ি দিন কষ্টেসৃষ্টে কাটিয়ে দেওয়া যেত। অবশ্য এতে তার বউয়েরও কিছু অবদান ছিল। সেকেন্ডহ্যান্ড সেলাইকল ঘড়ঘড় করে চালিয়ে রেডিমেডের সেলাই করত সে। তাতে ওদের সংসারের জং-ধরা চাকায় কিছুটা তেল-মোবিল পড়ত আর কি। না, রুমু সেলাই-টেলাই করত না। ও পাড়ার লোকের ফাইফরমাশ খাটত। যেমন, কারও দোকানপাট করে দেওয়া, কারও বাচ্চাকে ইস্কুলে দিয়ে আসা নিয়ে আসা, কাউকে চাল গুঁড়ো করতে সাহায্য করা। স্বামী-স্ত্রী সিনেমায় গেলে তাদের ঘরদোর পাহারা দেওয়া, কিংবা একবেলার জন্যে কোনও বাড়িতে খাওয়ার নেমন্তন্ন পেলে দু-বেলার রান্নাটাই সেরে দিয়ে আসা। এসব উপকারের জন্যে খুশি হয়ে পাড়াপড়শিরা রুমুকে শাড়ি-ব্লাউজ, কখনও সিনেমা দেখার টাকা, কখনও বাড়তি খাবারদাবার দিত। না-না, রুমুকে কাজের লোক ভাববেন না। কথাটা খুব খারাপ শোনায়। বরং বলতে পারেন, ও পাড়ার সবাইকে ভালোবাসত, আর পড়শিরাও ভালোবাসত ওকে।

হ্যাঁ, তো সেলাইকল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তলাপাত্রবাবুর বউয়ের চোখে চশমা উঠল। রুমুর বয়েস বাড়তে লাগল। কেষ্টর শরীরের রক্ত কমতে লাগল। আর এদিকে হরিহর তলাপাত্র রোজ সকালে ওঠেন, বাজার করেন, দাড়ি কামান, অফিস যান, সেখানে দাবড়ানি খান, বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে বাড়ি ফেরেন, এক কাপ চা খান, ধারকরা খবরের কাগজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন, খাটে শুয়ে থাকা কেষ্টর মাথায় হাত বোলান, বউয়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করেন, রাতের খাওয়া সারেন, কেষ্টর পাশে শুয়ে পড়েন, রুমু মায়ের সঙ্গে মেঝেতে চাদর পেতে শুয়ে পড়ে সেটা দেখেন, আলো নিভিয়ে মনে মনে তিনবার ইষ্টনাম জপ করে ঘুমিয়ে পড়েন। আবার পরদিন সকালে ওঠেন, বাজার করেন, দাড়ি কামান, অফিস যান, সেখানে…।

মোটমাট ধরে নিন, মি লর্ডস, সকালে ওঠেন এবং ঘুমিয়ে পড়েন, হরিহরবাবুর এই দুটো কাজের ওপরে কেউ যেন দুটো পৌনঃপুনিক ফুটকি বসিয়ে দিয়েছে। বউয়ের রেডিমেডের সেলাইয়ের মতো ওর যেন এক রেডিমেড জীবনযাত্রা। অর্থাৎ, রোজ সেই একই চক্র। বিষচক্র। কোনও সাপ যেন নিজের লেজ গিলে ফেলতে চাইছে।

ও, হ্যাঁ। মাসের দশ দিনের হিসেব এখনও আপনাদের দেওয়া হয়নি। ওই দশটা দিন চলত পাড়াপড়শির থেকে ধার করে। অবশ্য শুধু এইটুকু বললেই সবটা বলা হয় না। কারণ, গত বছর কয়েক ধরে হরিহর তলাপাত্রের এক অদ্ভুত উপলব্ধি হয়েছিল। তিনি দেখলেন, তার প্রত্যেকটা দিনই কাটছে নাভিশ্বাসের মধ্যে। টাকা রোজগার করছেন, সংসারের বোঝা ঠেলছেন, ওভারটাইম করে প্রতিবেশীদের ধার মেটাচ্ছেন, আর সারাটা মাস হাতে গড়া রুটি, আলু-পোস্তর চচ্চড়ি, ডাল আর লঙ্কাভাজা–অথবা ওইরকম কিছু দিয়ে পেট ভরাচ্ছেন।

ইলিশ মাছ হরিহরবাবু চোখে দেখেছেন। এক-আধবার নেমন্তন্ন বাড়ির দৌলতে চেখেও দেখেছেন। মাংসও তাই। এরকম আরও অনেক খাবারও তাই। সুতরাং নিজের লেজ গিলতে-গিলতে সাপটা যখন ঘাড়ের কাছে পৌঁছে গেছে, তখনই মরিয়া হরিহর তলাপাত্র জীবনযাত্রায় একটা মোচড় দিলেন। তার বউ চমকে গেল, রুমু ভয় পেল, আর কেষ্ট বাবাকে আরও ভালোবাসতে শিখল, শ্রদ্ধা বেড়ে গেল আরও। কারণ নিতান্ত দুঃসাহসী না হলে কেউ এরকম ঝুঁকি নিতে পারে!

না, হুজুরগণ, চুরি-চামারি, খুন বা ডাকাতির পথে পা বাড়াননি হরিহর তলাপাত্র। উনি শুধু মাসের প্রথম পাঁচটা দিন বড়লোক হয়ে গেলেন। বাড়িতে আসতে লাগল চর্ব-চোষ্য-লেহ্য পেয়। কিন্তু ছনম্বর দিন থেকেই ডাল রুটি কাঁচালঙ্কা। কখনও ধার, আবার প্রাণান্ত করে ধার শোধ। বউ আর মেয়ে তাকে অনেক বুঝিয়েছিল, বারণ করেছিল; বলেছিল, এসব পাগলামি কোরো না। কিন্তু হরিহর তলাপাত্র তখন মরিয়া। তিনি হেসে বউকে বলেছিলেন, এমনিতেই তো বেঁচে মরে আছি। সারাটা জীবন এইভাবেই কাটাতে হবে। তা হলে কি কোনদিনও তোমার বা ছেলেমেয়ের মুখে দুটো ভালো খাবার তুলে দিতে পারব? তার চেয়ে এখন মন্দ কী! কষ্ট তো এমনিতেই আছে, থাকবেও। বরং পাঁচটা দিন সুখের স্বাদ নিতে পারলাম, মানুষের মতো বাঁচলাম। বাকি পঁচিশটা দিন তো আবার সেই ছারপোকার জীবন–আগে যেটা তিরিশ দিন ছিল। দু-আঙুলের চাপের মাঝে থেকেও শরীরটা যতদূর সম্ভব চ্যাপটা করে পাতলা করে জীবিত থাকা। মরেও বেঁচে থাকা।

ব্যস, এইভাবে চলতে লাগল। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। প্রথম পাঁচদিন ফুর্তিতে থেকে ভালো-মন্দ খাওয়া, জামাকাপড় কেচে ইস্তিরি করে পরা, তারপর আবার ছারপোকার জীবনে অধঃপতন। মাঝে মাঝে দুর্বল কেষ্ট চলাফেরা করতে গিয়ে পড়ে যায়। হাত-পা ভাঙে, হাড়-মাংস দেখা যায়, কিন্তু রক্ত পড়ে না। বউয়ের চোখ ব্যথা হলে রেডিমেড সেলাই দু-একদিন বন্ধ থাকে। রুমুও ফাইফরমাস খাটে। ওর বিয়ের বয়েস পা টিপেটিপে পেরিয়ে যায়। মায়ের হা-হুঁতাশ সত্ত্বেও কোনও ছেলে-বন্ধু জোটাতে পারেনি রুমু। পারবেই বা কেমন করে! ওর ওই রূপ নিয়ে খারাপ মেয়ে হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করাও বেশ শক্ত। সুতরাং সংসারটা নতুন ছকে গড়িয়ে চলতে লাগল। এবং হরিহরবাবুর অজান্তেই নিজের লেজ গেলা সাপটা একটা থেকে দুটো হয়ে দাঁড়াল। দুটো সাপ একে অপরের লেজ গিলতে শুরু করল। জন্ম নিল নতুন এক বিষচক্র।

জোড়া সাপের বৃত্ত আকারে ক্রমেই ছোট হয়ে আসতে লাগল। একটা ফাঁসির দড়ি যেন এঁটে বসতে লাগল হরিহর তলাপাত্রের শীর্ণ গলায়। কারণ, তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে চেয়েছিলেন। মানুষের মতো বাঁচার স্বাদ কাকে বলে তা বুঝতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু, মি লির্ডস্, আরশোলা কখনও পাখি হয় না, ছারপোকা কখনও মানুষ হতে পারে না। সুতরাং সংসারের চাকায় আবার কাচকোঁচ শব্দ শুরু হল। টাল খেয়ে গেল গাড়িটা। গতি কমে গেল, টলমল করতে লাগল। সাপ দুটোর মাথা পরস্পরের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেল। আর তখনই…।

তখনই বিষ খেলেন হরিহর তলাপাত্র। ছারপোকা মারার বিষ। মরার বিষ। এক শিশি বিষ গিলে ফেললেন ঢকঢক করে। সেদিনটা ছিল মাসের ছতারিখ। ভোরবেলা বাথরুম থেকে তার গোঙানি শোনা গিয়েছিল। বউয়ের চিৎকার, রুমুর চিৎকার, কেষ্টর চিৎকার পাড়ার লোকদের ডেকে এনেছিল। তারাই দরজা ভেঙে উদ্ধার করে হরিহর তলাপাত্রকে।

না, চিকিৎসায় বিশেষ সুবিধে হয়নি। গত তিনদিন ধরেই অসাড় হয়ে পড়ে আছেন হরিহরবাবু। প্রাণটা যে আছে তা শুধু কোনওরকমে টের পাওয়া যায়। তা-ও কখনও কখনও নাড়ির স্পন্দন উবে যায়, বুকের ধুকপুকুনি ডুবে যায়। একেই কি বলে জীবন্ত অবস্থা? তাই যদি হয়, মি লর্ডস্, তা হলে নিঃসন্দেহে বলা যায় হরিহর তলাপাত্রের জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। আগেও তিনি বেঁচে মরে ছিলেন, কিংবা মরে বেঁচে ছিলেন–আর এখনও তাই। এইরকম একটা মানুষকে কী-ই বা শাস্তি দেবেন আপনারা? এই মানুষটার বেলায় আত্মহত্যার জঘন্য অপচেষ্টার একমাত্র কঠিন শাস্তি হতে পারে মানুষটাকে বাঁচিয়ে তোলা। তারপর তাকে আগের জীবনধারার ছকে দাবার খুঁটির মতো সঠিক জায়গায় বসিয়ে দেওয়া। তখন সাপ দুটো আবার পরস্পরের শরীর গিলে খেতে শুরু করবে। বিষচক্রের বৃত্ত ক্রমশ ছোট হবে মাপে। আবার শুরু হবে পাঁচদিন আর পঁচিশ দিনের লুকোচুরি খেলা। সে যে সহ্য করা যায় না, মি লর্ডস্। আমাদের জীবনটা যে খুব কষ্টের। ভীষণ কষ্টের।

তাই আমার একান্ত অনুরোধ, হরিহর তলাপাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক সপরিবারে। কারণ তার আত্মহত্যার চেষ্টার কিছু না কিছু দায়ভাগ পরিবারের প্রত্যেকেরই রয়েছে। তা ছাড়া, ওই মানুষটাকে একা দণ্ড দেওয়ার অর্থও তো সেই একই। পরিবারের বাকিগুলোর মৃত্যুদণ্ড তিলে তিলে মৃত্যু। তাই আমার একান্ত প্রার্থনা, হুজুরগণ, হরিহর তলাপাত্রকে সপরিবারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। মৃত্যুদণ্ড! একটুও বেশি নয়, একটুও কম নয়। তাতেই আমি সবচেয়ে বেশি শান্তি পাব। আর আদালতে দর্শক হিসেবে যারা হাজির রয়েছে তারাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাঁচবে।

কী বলছেন? একথা কেন বলছি? হুহ! সেটুকুও যদি আপনারা বুঝতেন! মি লর্ডস, আমাকে বা আদালতে হাজির দর্শকদের দেখে আপনারা কি কিছুই আন্দাজ করতে পারছেন না? দেখতে পাচ্ছেন না, কী উদগ্রীব আগ্রহে আমরা আপনাদের সিদ্ধান্ত শোনার জন্যে অপেক্ষা করছি? তার কারণ, আমাদের প্রত্যেকেরই জীবন নিজের লেজ গেলা সাপের মতো। আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা দিনই হুবহু একরকম। একই মাপের রেডিমেড জীবনযাত্রা আমাদের। আমরা প্রত্যেকেই অ্যানিমিয়ার রুগি নিয়ে, বিয়ের বয়েস পেরোনো মেয়ে নিয়ে, চাল-ডাল-নুন-তেলের দামের সঙ্গে প্রতিদিনই লড়াই করি। আমরা মরে বেঁচে আছি। কিংবা বেঁচে মরে আছি। আমাদের প্রত্যেকেরই চোয়াল ভাঙা, শক্ত। আমাদের কপালে অসংখ্য ভাঁজ। চামড়া শুকনো, খসখসে। তবে হ্যাঁ, নামগুলো শুধু আলাদা। অবশ্য এক হলেও বিশেষ কোনও ক্ষতি ছিল না। তা ছাড়া, এই দেখুন, আমাদের প্রত্যেকেরই পকেটে রয়েছে এক শিশি করে ছারপোকা মারার বিষ। মরার বিষ।

সুতরাং, বুঝতেই পারছেন মি লর্ডস্, আপনাদের রায় আমাদের সবার পক্ষে কত জরুরি। সেই জন্যেই তো উৎকর্ণ হয়ে আমরা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি জনতা–আপনাদের সিদ্ধান্ত শোনার অপেক্ষা করছি। আদালতের ঘড়ির টিকটিক শব্দ শুনছি, আর অপেক্ষা করছি…। আপনারা বলুন…।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress