আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের আমাবস্যা তিথিতে,
পিতৃ তর্পণ দিয়ে পিতৃপক্ষের শেষ লগ্নে,
দেবীর আগমনী বার্তা নিয়ে
দেবীপক্ষের শুভসূচনায়,
শ্রী বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের
“মহিষাসুরমর্দিনী” আর মহালয়াতিথি যেন আপামর বাঙালি হৃদয়ে একাত্ম দুটি নাম
ওতপ্রোত জড়িয়ে।
শৈশব স্মৃতি আজও নাড়া দেয় স্মৃতির দুয়ারে,
প্রতি মহালার মহেন্দ্রক্ষণে
ঘড়িতে এলার্ম ভোর সাড়ে চারটাতে,
কুয়াশাছন্ন প্রাতে ঘুম ভাঙ্গে “জাগো মা ” মধুর ধ্বনিতে।
আকাশ বাতাস মুখরিত সুদূরের লাউড স্পিকারে,
“যা চন্ডী মধুকৈটভাদি দৈত্যদলিনী যা মহিষোম্মুলিনী”
স্তোত্র দিয়ে শুরু চন্ডী পাঠ ধ্যান শ্লোকে।
আপন প্রতিভায় ভাস্বর বিদগ্ধ পণ্ডিত
বেতার যুগপুরুষ বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র,
স্বমহিমায় আজও আপামর বাঙালি হৃদয়ে বিরাজিত।
“যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমায়েতি শব্দিতা
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।”
তৎকালীন বেতার কেন্দ্রে সদলে উপস্থিত
শারদ উষার শুচি স্নিগ্ধ প্রাতে,
ভাষ্যকারের সুমধুর পাঠের জাদুতে,
খস খসে গলার নিখুঁত সংস্কৃত উচ্চারণের মহিমায় জাগরিত
প্রকৃতির অন্তরাকাশ,
ধ্বনিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনী বার্তা
সমবেত স্বরে।
বেজে ওঠে বাঙালির প্রাণমনে মহাজাগতিক রণ দামামা সুরে
“মহিষাসুরমর্দিনী” সংগীতালেখ্য,
আজও যা সমান ভাবে সমাদৃত বাঙালির ঘরে ঘরে।