উত্তপ্ত ধূ ধূ বালুরাশি,
এক বুক হাহাকার নিয়ে
মরুভূমি কাতর।
কবি আকুল, তৃষ্ণা মেটাবার জন্য।
ছুটে গেলেন নদীর কাছে।
নদী তখন সবে সূর্যের আভিজাত্যে
নিজেকে মেশাতে ব্যস্ত।
কবি জানালেন তাঁর আবেদন।
আবেগী নদী সম্মত হলো কবির ডাকে।
পথ চিনিয়ে নিয়ে চলেছেন কবি।
হাতে অস্ত্র নিয়ে পাথর খুঁড়ে খুঁড়ে
নদীকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
রক্তাক্ত কবির হাত।
মর্মাহত নদী ধুয়ে দিচ্ছে।
ক্লান্ত কবি বিশ্রাম নিচ্ছেন নদীর কাঁধে।
বছরের পর বছর চলছে কবির সাধনা।
একটা একটা পাথর সরিয়ে
নদীকে নিয়ে চলেছেন মরুভূমির দিকে।
কবির সাধনা মুগ্ধ করলো নদীকে।
প্রেমে পড়ল নদী।
কবির পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধীরে ধীরে
পৌঁছালো মরুভূমির দিকে।
বহুকালের তৃষ্ণা মেটাল মরুভূমি।
এখন সে তৃপ্ত, শান্ত, স্নিগ্ধ।
স্নিগ্ধ মরুর বুকে ধীরে ধীরে প্রাণের সঞ্চার হল।
নদী,মরুভূমি, কবি তিনজনে মিলে
রচনা করলো এক স্বর্গ।
ধীরে ধীরে সুপ্ত বীজ মহীরূহ হলো।
শাখা ফুল ফল দিয়ে
সমৃদ্ধ করল মরুভূমিকে।
কোথা থেকে এলো ব্যবসায়ীর দল!
হঠাৎ একদিন কবি হারিয়ে গেলেন।
আকুল নদী ধীরে ধীরে তার স্বচ্ছন্দতা হারালো।
মরুভূমি ও খুঁজে চলেছে কবিকে।
কবির শোকে নদী ধীরে ধীরে শুকিয়ে গেল।
মরুভূমিও আবার প্রাণ হারিয়ে ফেলল।
শেষবার সেও আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল নদীকে,
নদীর মরার আগে।
তাই মরুদ্যান হয়ে রয়েছে আজও মরুর বুকে।