কবি-সাহিত্যিকদের মাঝেও যে আছে হিংসার গাছ–
বুঝলাম আজ,
লিখে মনের দুঃখ কষ্ট
সাহিত্যের পিছনে করেছি সময় নষ্ট
ভেবেছিলাম সাহিত্যাঙ্গন একটি মন্দিরের সমান
কিছু নামী দামী কবি-সাহিত্যিকেরাই ইহার-
নাম রূপায়ণ করিয়াছেন হিংসার জন্মস্থান।
আবেগ আর বিবেক হয়েছে রূপান্তরী সাবেক
ভন্ড মালা লেখক সেজে দেখছে খালি লকেট আর পকেট
আমি না হয় নিঃস্ব কবি আঁকিছি যে সমাজ ছবি
আমার খেয়াল গাছের গোড়ায়, মাঠের ‘পরে
মেঘের সুতোয় গাঁথবো মালা কাব্য কথায় প্রাণটি ভরে
পৃথিবীর গায় দেখি একটা লম্বা কালো দাগ সদাহাস্য
দেখেও দেখেনা এই পৃথিবীর মহামানব,
হয়তোবা দেখছে কেউ ;কেউবা দেখেও করছে রহস্য।
কোন রজনীর দুষ্টু খেয়াল দেখি যেথায় সাহিত্যে ভেজাল
দাঁড়াই রুখে রুষ্ট বুকে কামড়ে রাখি শক্ত চোয়াল।
নম্র ভাষার শুভ্র দীপ্ত দর্শায় আজ নয়ন সিক্ত
অন্ধ চলন অন্ধ বলন করছে তাদের অন্ধ ভক্ত
স্বাধীনচেতা নগর পাড়ে দেখবে আমার মুন্ডুটারে
নাহি রইবো এই দুনিয়া তটে সেদিন অকাল মেঘে খুঁজিও মোরে
খেয়াল চেতনায় দুলছে ভুবন;মহাজ্ঞান অবচেতন
অন্ধ নিবাস জল; খামোখা তারা প্রাণ চঞ্চল
বিনিদ্রর কুসুম ঘিরে অযথা করে মুখ উজ্জ্বল,
অজ্ঞাতদের গহীন ভিড়ে জ্ঞানশূন্য হই ধীরেধীরে
কবি নামের জঞ্জালটারে দিয়েছো বিদায় অপমান ভরে
এই কি শোভা কবিত্বতে সমকালের সাহিত্য জুড়ে?