পাঁচমারি যে এতটা দূরে
পাঁচমারি যে এতটা দূরে, তা আগে বুঝতে পারিনি। যাচ্ছি। তো যাচ্ছিই, তার মধ্যে কত রকম জায়গা যে পেরিয়ে এলুম তার ঠিক নেই। ধুধু করা মাঠ, ছোট ছোট শহর, কোথাও ঘন জঙ্গল। এক জায়গায় তো গাড়ি থেকে নেমে আমাদের সবাইকে হাঁটতে হল, সেখানে একটা নদীর ওপর ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, কিছুটা জায়গা বালির ওপর দিয়ে যেতে হয়, ভর্তি গাড়ি নিয়ে যাওয়া অসম্ভব, খালি গাড়িটা কোনওরকমে হেলেদুলে গিয়ে উঠল ব্রিজে।
শেষের দিকে বেশ খানিকটা একেবারে পাহাড়ি রাস্তা। গাড়িটা উঠতে লাগল ঘুরে-ঘুরে। এক পাশে ঘন বন, আর একদিকে বহুদূর ছড়ানো উপত্যক। অনেকটা আমাদের দাৰ্জিলিং-এর মতন। গাড়ি চালাচ্ছে নিপুদা, আর রত্নেশদা রাইফেলটা ধরে বসে আছে জানলার ধারে। খুব আশা করেছিলুম দু-একটা বাঘ-ভালুক দেখতে পাব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা লুকিয়েই থেকে গেল।
পাঁচমারি শহরটা প্রথম দেখে এমন কিছু নতুন মনে হয় না। মনে হয়, এমনিই পাহাড়ের ওপর একটা ছোট্ট শহর। কিন্তু কিছুক্ষণ থাকবার পর বোঝা যায়, এ-রকম জায়গা আমাদের দেশে বিশেষ নেই। ঠিক যেন ছবির বইতে কিংবা সিনেমায় দেখা ইওরোপের কোনও গ্রাম। সাহেবরাই এই পাহাড়ের ওপর জায়গাটা পরিষ্কার করে এক-সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্ৰ বানিয়েছিল। সাহেবি ধরনের সব বাড়ি, সেই রকম ছোট্ট গিজা। আমাদের দার্জিলিংও সাহেবদের তৈরি, কিন্তু এখন সেখানে অনেক নতুন বাড়ি-ঘর উঠেছে। কিন্তু সাহেবরা চলে যাবার পর পাঁচমারিতে আর তেমন নতুন বাড়িঘর বানাতে দেওয়া হয়নি, তাই শহরটাকে দেখতে ঠিক আগেকার মতনই আছে।
আমাদের হোটেলটা একটা টিলার ওপরে। এটাও আগে ছিল আগেকার এক সাহেবের। প্রত্যেক ঘরে ফায়ারপ্লেস। এখানকার বারান্দায় দাঁড়ালে বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়। ডানদিকে একটা উঁচু পাহাড়ে মন্দির। পাহাড়টা একেবারে খাড়া। ঐ মন্দিরে মানুষ যায় কী করে কে জানে!
পাহাড়ি জায়গায় এসে মিংমা খুব খুশি। ও কথা খুব কম বলে, কিন্তু মুখচোখ দেখলেই বোঝা যায়, এখানে এসে ওর খুব আনন্দ হয়েছে। হোটেলের পেছন দিকটায় একটা আমলকী গাছ, মিংমা সেটা ঝাঁকিয়ে-ঝাঁকিয়ে অনেক আমলকী পেড়ে ফেলল। প্রায় দু কিলো হবে! আমলকী খাবার পর জল খেলে খুব মিষ্টি লাগে। কিন্তু এত আমলকী কে খাবে?
হোটেলে সব গুছিয়ে রাখার পর আমরা আবার বেরিয়ে পড়লুম। পাঁচমারিতে অনেক কিছু দেখবার আছে। মনে হয়, এই জায়গাটা শিবঠাকুরের খুব পছন্দ। এক জায়গায় পাথরের গায়ে এমনি-এমনি ফুটে উঠেছে ত্রিশূলধারী শিবের ছবি। পাঁচমারি থেকে কয়েক মাইল দূরে একটা অন্ধকার গুহার মধ্যে রয়েছে একটা শিবলিঙ্গ, সেটা ওখানে কেউ বসায়নি। তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে।
আর-একটা ছোট টিলার ওপরে রয়েছে পাশাপাশি কয়েকটা গুহা। দেখলে মনে হয়, বহুকাল আগে কেউ ওখানে একটা বাংলো বানিয়েছিল। আমরা ওপরে উঠে দেখলুম, গুহাগুলো ঠিক ঘরের মতন। একজন গাইড বলল, এটা পঞ্চ-পাণ্ডবের গুহা। বনবাসের সময় পঞ্চপাণ্ডব আর দ্ৰৌপদী এখানে কিছুদিন ছিলেন।
এই পাণ্ডবগুহার আবার ছাদ আছে। সেখানে এসে দেখলুম, একজন মানুষ পা ঝুলিয়ে বসে আছে এক ধারে। বিকেল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, পশ্চিমে একটা পাহাড়ের আড়ালে সূর্য ড়ুবে যাচ্ছে আস্তে-আস্তে, লোকটি চেয়ে আছে সেদিকে।
রত্নেশদা বলে উঠল, আরে, বিজয়?
লোকটি চমকে আমাদের দিকে ফিরল। নাকের নীচে পাকানো গোঁফ, ভালমানুষের মতন চেহারা। কিন্তু মুখখান গঞ্জীর।
রত্নেশদা আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে, এ হচেছ বিজয় শাকসেনা, আমার অফিসের কলিগ।
ছোড়দি বিজয় শাকসেনাকে আগে থেকেই চেনে, সে জিজ্ঞেস করল, আপনি কবে এসেছেন?
বিজয় শাকসেনা হিন্দিতে উত্তর দিল, আজই দুপুরে। চীফ মিনিস্টার কয়েকদিন পর এখানে মীটিং করতে আসবেন, সেই ব্যবস্থা করতে এসেছি।
রত্নেশদা বলল, হঠাৎ ঠিক হল বুঝি! কিসে এলে? আমাদের বললে পারতে, আমাদের গাড়িতে অনেক জায়গা ছিল—
বিজয় শাকসেনা বলল, একটা জিপ পেয়ে গেলাম। কোনও অসুবিধে হয়নি।
নিপুদা বলল, আপনার আংকল ডক্টর শাকসেনার কোনও খোঁজ পাওয়া গেছে?
বিজয় অবাক হয়ে বলল, কেন, একথা জিজ্ঞেস করছেন কেন? আমার কাকা তো বিদেশে!
সে কী, আপনি শোনেননি! উনি ফিরে এসেছেন, তারপরই আবার উধাও হয়ে গেছেন, ওঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ সকালে রেডিওতে বলেছে, কাগজেও বড় করে বেরিয়েছে।
ও, আমি ভোর চারটেয় বেরিয়েছি। রেডিও শুনিনি, কাগজও দেখিনি। কী বলছেন, উনি হারিয়ে গেছেন?
হ্যাঁ, উনি রহস্যময়ভাবে নিরুদ্দেশ। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, ওঁকে কেউ জোর করে ধরে নিয়ে গেছে।
বাড়ি থেকে?
হ্যাঁ। উনি শুতে গিয়েছিলেন—
অসম্ভব! বাড়ি থেকে কে ওঁকে নিয়ে যাবে? উনি খেয়ালি লোক, হঠাৎ মাথায় কিছু এসেছে, নিজেই কোথাও চলে গেছেন। আমার কাকিম কী বলেন জানেন? উনি বললেন যে, ওঁর বয়েস যদি এক হাজার বছর হত, তা হলে ভাল হত। কারণ অন্তত এক হাজার বছরের পুরনো না হলে-কোনও কিছু সম্পর্কে আমার কাকার কোনও আগ্রহ নেই। নিশ্চয়ই এখন উনি কোনও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে বসে আছেন
না, মানে, সবাই ভয় পাচ্ছে, ভূপালে হঠাৎ যে-সব খুন-টুন হতে শুরু ዋርፏር&….
আমার কাকাকে কে খুন করবে? কেন খুন করবে? না, না, না, আপনার শুধু-গুধু ভয় পাচ্ছেন। চলুন নীচে যাওয়া যাক। এরপর অন্ধকার হয়ে যাবে।
নীচে নামার পর বিজয় শাকসেনা আর বিশেষ কিছু না বলে নমস্কার জানিয়ে চলে গেলেন।
রত্নেশদা বলল, চলো সবাই, এক্ষুনি হোটেলে ফিরতে হবে। পাঁচমারির ব্যাপার জানো তো, একটু রাত হলে আর বাইরে থাকা যায় না। আমি ভাবলুম, রাত্তিরবেলা বোধহয় এখানে বাঘ বেরোয়। তা নয়, বাঘের চেয়েও সাঙ্ঘাতিক এখানকার শীত। এটাই পাঁচমারির বিশেষত্ব। দিনের বেলা এখানে গরম জামা গায়ে দিতেই হয় না। কিন্তু যেই সন্ধের পর অন্ধকার নামতে শুরু করে, অমনি আরম্ভ হয়। শীত। সে কী সাঙ্ঘাতিক শীত! হোটেলে ফিরতে না-ফিরতেই আমরা কাঁপতে লাগলুম ঠকঠক করে।
তাড়াতাড়ি রাত্তিরের খাওয়া সেরে নিয়ে আমরা সবাই মিলে একটা ঘরে বসলুম আড্ডা দিতে। অনেক কাঠ এনে ফায়ারপ্লেস জ্বালানো হয়েছে, তবু শীত যায় না। আমরা আগুনের কাছে এসে মাঝে-মাঝে হাত-পা সেঁকে নিচ্ছি। আমরা যে কম্বল এনেছি, তাতে কুলোবে না, হোটেল থেকে আরও কম্বল দিয়েছে। একজন বেয়ারা বলেছে যে, প্রত্যেকের অন্তত তিনটে করে কম্বল লাগবে।
নিপুদা একসময় রত্নেশদাকে বলল, আচ্ছা, দাদা, তোমার অফিসের ঐ বিজয় শাকসেনার ব্যবহারটা কেমন একটু অস্বাভাবিক লাগল না?
ছোড়দি বলল, আমার মনে হল, ভদ্রলোক আমাদের দেখে যেন একটু চমকে উঠলেন। আমরা যে এই শনিবার পাঁচমারিতে আসব, তুমি অফিসে জানাওনি?
রত্নেশদা বলল, হ্যাঁ, জানাব না কেন? বিজয়কেও তো বলেছিলাম। বিজয়ও যে এখানে আসবে, সেটা জানতুম না। অবশ্য চীফ মিনিস্টারের এখানে আসবার কথা আছে ঠিকই।
আমি বললুম, ডক্টর চিরঞ্জীব শাকসেনার নিরুদ্দেশ হবার কথা উনি আমাদের কাছে প্ৰথম শুনলেন?
রত্নেশদা বলল, ও যে বলল আজি খুব ভোরে বেরিয়েছে। রেডিও শোনেনি, কাগজও পড়েনি। তাহলে জানবে কী করে?
আমি বললুম, রেড়িওতে আজ সকালে জানালেও ডক্টর শাকসেনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কাল সকাল থেকে। কাল সারা দিনে উনি কোনও খবর পাননি? ওঁরা এক বাড়িতে থাকেন না বুঝি?
রত্নেশদা বলল, তা অবশ্য ঠিক। এক বাড়িতে না থাকলেও খুব কাছাকাছি বাড়ি। বিজয়ের কাকার বাড়ি থেকে দেখা যায়। ও-বাড়িতে কিছু হলে বিজয় নিশ্চয়ই জানবে?
নিপুদা বলল, আমাদের মুখে খবরটা শুনেও ওকে খুব একটা ব্যস্ত হতে দেখলুম না। ওদের কাকা-ভাইপোতে ঝগড়া নাকি?
রত্নেশদা বলল, আরে না, না। বিজয় ওর কাকাকে একেবারে দেবতার মতন। শ্রদ্ধা করে। তা ছাড়া বিজয় মানুষটা খুব ভাল। কারুর সঙ্গেই ওর ঝগড়াঝাঁটি নেই।
দীপ্ত বলল, আমি একটা কথা বলব? আমার কী মনে হচ্ছে জানেন? চিরঞ্জীব শাকসেনাকে কারা ধরে নিয়ে গেছে, তা ঐ বিজয়বাবু জানেন। তারা বিজয়বাবুকে ভয় দেখিয়েছে যে, মুখ খুললেই মেরে ফেলবে। সেইজন্যই উনি পাঁচমারিতে পালিয়ে এসেছেন।
ছোড়দি বলল, দীপ্ত ঠিকই বলেছে, আমারও কিন্তু তাই মনে হচ্ছে।
রত্নেশদা বলল, ওর কাকার এত বড় বিপদ হলে বিজয় নিজের প্রাণের ভয়ে চুপ করে থাকবে, আমার কিন্তু তা মনে হয় না। ও হয়তো সত্যিই খবরটা জানত না। কাল সারাদিন বোধহয় ব্যস্ত ছিল-আরো তাই তো, বিজয় তো গতকাল অফিসেও আসেনি।
নিপুদা বলল, উনি পাঁচমারিতে কোথায় উঠেছেন, সে-কথাও তো আমাদের বললেন না। হঠাৎ চলে গেলেন।
রত্নেশদা বলল, পাঁচমারি ছোট জায়গা, সবার সঙ্গে সবার রোজ দেখা হয়। বিজয় নিশ্চয়ই সার্কিট হাউসে উঠেছে। কাল সকালেই আবার দেখা হবে।
একটু বাদেই পরপর দুবার দুড়ুম দুড়ুম করে বন্দুকের শব্দ শোনা গেল! আমরা চমকে উঠলুম!
জায়গাটা এমনই শান্ত আর নিস্তব্ধ যে, সেই আওয়াজ যেন কমানের গৰ্জনের মতন শোনাল।
শীত অগ্রাহ্য করেও আমরা চলে এলুম বারান্দায়। এই টিলার ওপর থেকে পাঁচমারির অন্য বাড়িগুলোর আলো একটু-একটু দেখা যায়। যেন ছড়ানো-ছেটানো অনেকগুলো তারা। দূরে কোথাও সামান্য গোলমালের আভাস পাওয়া গেল। কিন্তু ব্যাপারটা কিছুই বোঝা গেল না। এত রাতে কে বন্দুক ছুঁড়বে? জঙ্গলে কেউ শিকার করতে গেছে? এই শীতের মধ্যেও যদি কেউ শিকারে যায়, তবে তার শখকে ধন্য বলতে হবে!
আর বেশিক্ষণ আমাদের গল্প জমল না। সকলের মন টনছিল বিছানার দিকে। শোওয়ামাত্র ঘুম।
পরদিন যখন ঘুম ভাঙল, তখন নটা বেজে গেছে। চারদিকে ঝলমল করছে। য়োদ। শীতও অনেক কম।
হোটেলের লম্বা টানা বারান্দায় অনেকগুলো বেতের চেয়ার আর টেবিল। আমরা এক জায়গায় গোল হয়ে বসে চা খেতে লাগলুম। মিংমা চা খেল পরপর চার কাপ। ছোড়াদির এই শীতে সর্দি লেগে গেছে, হ্যাঁচ্চো হ্যাঁচ্চো করছে বারবার।
কয়েকজন বেয়ারা এক কোণে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা ঘলছে, আমার হঠাৎ মনে পড়ে গেল গতকাল রাত্রের সেই গুলির আওয়াজের কথা। আমি জিজ্ঞেস করলুম, রত্নেশদা, কালকের সেই গুলি—
রত্নেশদা বলল, ও হ্যাঁ, তাই তো!
একজন বেয়ারাকে ডেকে রত্নেশদা জিজ্ঞেস করল, কাল রাত্রে কিসের শব্দ হয়েছিল? তোমরা শুনেছ?
বেয়ারাটি বলল, সাব, এমন কাণ্ড এখানে কোনওদিন হয়নি। পাঁচমারিতে বেশি লোক আসে না, যারা আসে তারা সব বাছাই-বাছাই মানুষ। এখানে কোনওদিন কোনও হাঙ্গামা-হুজোত হয় না। এই প্রথম এখানে এমন একটা খারাপ ব্যাপার হল–
কী হয়েছে, আগে তাই বলো না!
সার্কিট হাউসে কারা এসে কাল এক বাবুকে গুলি করেছে।
রত্নেশদা চমকে উঠে বলল, অ্যাঁ? সার্কিট হাউসে? কে গুলি করেছে? কাকে করেছে? কেউ মারা গেছে?
বেয়ারাটি অত খবর জানে না। সে সব শুনেছে অন্য লোকের মুখে। একদল ডাকাত নাকি এসেছিল, একজন না। দুজন মরে গেছে। ডাকাতরা অনেক কিছু নিয়ে গেছে।
ব্রেকফার্স্ট না খেয়েই আমরা বেরিয়ে পড়লুম তক্ষুনি। ছোড়দি আর মিংমাকে রেখে যাওয়া হল।
সার্কিট হাউসের সামনে তখনও কুড়ি-পঁচিশ জন লোক দাঁড়িয়ে জটলা, করছে। আমরা পৌঁছে বুঝলুম, আমাদের ঠিক পাঁচ মিনিট দেরি হয়ে গেছে। একটুর জন্য দেখা হল না।
কাল রাত্রে কেউ এসে গুলি ছুঁড়েছে ঠিকই। কেন ছুঁড়েছে বা কে ছুঁড়েছে তা বোঝা যায়নি। গুলির শব্দ শুনে সার্কিট হাউসের অন্য বাসিন্দারা উঠে এসে দেখে যে, বারান্দায় একজন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখনও মরেনি, অজ্ঞান। এখানকার হেলথ সেন্টারে একজন মাত্র ডাক্তার, তিনি আবার কাল বিকেলেই চলে গেছেন। জব্বলপুরে। তখন অন্যরা কোনও রকমে আহত লোকটিকে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেয়। গুলি লেগেছে উরুতে। আজ সকালে এই পাঁচ মিনিট আগে লাকটিকে নিয়ে যাওয়া হল শহরের হাসপাতালে। সঙ্গে সার্কিট হাউস থেকেও দুজন গেছেন।
একটু খোঁজ করতেই জানা গেল, আহত লোকটির নাম বিজয় শাকসেনা।