গ্রামটি আমার নদীর পাড়ে আম-কাঁঠালের ছায়
পাখপাখালির কূজন সেথায় মলয় মৃদু বায় !
ভোরের বেলা ডাকত মোরগ উঠত জেগে পাড়া
পুকুরঘাটে গাঁ বধূদের সকালবেলায় তাড়া ।
কচিকাঁচা পড়তে যেত রাখাল যেত মাঠে
দিন গড়িয়ে বিকেল হত সূর্য যেত পাটে ।
গাঁয়ের মানুষ বড্ড সরল ভালোবাসায় মোড়া
বিকেলবেলায় কন্যকাদের নদীর ধারে ঘোরা ।
স্কুলের ছুটি হবার পরেই ঘুড়ির লাটাই হাতে
ছুটতো কিছু দস্যি শিশু দাদাদিদির সাথে ।
খেলতো তারা লুকোচুরি বৌমারী ফুটবল
গোধূলিবেলায় হাত পা ধুয়ে বাড়ির দিকে চল ।
সাঁঝের বেলা শঙ্খধ্বনি কাঁসর ঘন্টা বাজে
সন্ধ্যাতারা মিষ্টি হাসে রাতের আকাশ সাজে ।
চতুর্দশীর চাঁদের বাহার মুগ্ধ করে মন
পূর্ণিমাতে ঘরে ঘরে চলত যে কীর্ত্তন ।