ভাইফোঁটার গল্প
আমি রেল শহর খড়্গ পুরের বাসিন্দা! আমাদের ভালবাসার শহরে ভোর হয় ট্রেনের সিটি ও সংস্কৃত স্তোত্রের যুগলবন্দীতে। খড্গপুর কে” মিনি ইন্ডিয়া” বলা হয়। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের জলজ্যান্ত উদাহরণ এই শহর। রেল কারখানায় কাজের সূত্রে সারা ভারত থেকে মানুষজন এখানে এসেছিলেন। ভিন রাজ্যের ভিন ভাষাভাষী মানুষের মেলবন্ধন এখানে। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র তেলেঙ্গানা তামিলনাড়ু কেরালার মানুষের আধিক্য এখানে দেখার মত।
উড়িষ্যা অন্ন্ধ্র তেলেঙ্গানার অধিবাসীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব বাঙ্গালীদের বিভিন্ন উৎসবের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
খড়্গপুরের ট্রাফিক এরিয়ায় ” সীতেশ দাস মেমোরিয়াল গ্রাউন্ড” এক বিরাট খেলার মাঠ। এখানে খেলাধুলার সাথে সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এই “সীতেশ দাস মেমোরিয়াল গ্রাউন্ড” এর নাম ভাইফোঁটা র সঙ্গে বিষাদমাখা হয়ে জড়িয়ে আছে। আমরা তখন স্কুলে পড়ি । সীতেশ দাস একজন উঠতি ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। দিদির বাড়ি ভাইফোঁটা নিতে আসার সময় ট্রেন থেকে পড়ে যান। খড্গপুর রেল হসপিটালে তার চিকিৎসা হয়। খড়্গপুরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষজন এর আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। এই সম্ভাবনাময় তরুণ ফুটবলার কে খড্গপুর ভোলেনি। ভালোবাসায় সম্মানে জড়িয়ে রেখেছে এই ক্রীড়াঙ্গন টির নামকরণ করে। ট্রাফিক রেক্রিয়েশন গ্রাউন্ড “সীতেশ দাস মেমোরিয়াল গ্রাউন্ড ” নামে পরিচিতি লাভ করেছে!