বন্দুক হাতে সেনারা ঘুরছে, চারদিকে,
মাঝখানে নিরস্ত্র আমি।
সেনারা কেউ আমাকে চেনে না, নিরস্ত্র নারীর দিকে
মাঝে মাঝে অদ্ভুত চোখে তাকায়।
কেউ জানে না এখানে হঠাৎ কী কারণে আমি!
ময়লা শরীর, মলিন কাপড়চোপড়, মনমরা উড়ুককু চুল,
গায়ে পায়ে শেকল নেই আমার, কিন্তু কোথাও না কোথাও আছে,
টের পায় ওরা, চাইলেও দু পা এগোতে পারবো না টের পায়।
ওদের চোখের তারায় বীভৎস এক টের পাওয়া দেখি।
বন্দুকগুলো, জানে ওরা, ভয় দেখাতে,
বেয়নেটগুলো, বুটজুতোগুলো ভয় দেখাতে।
ভয় না পেলে ওরা আঘাত পাবে খুব,
কাউকে আঘাত দেওয়ার অধিকার আমার আইনত নেই।
ওরা যদি ওপরতলায় খবর পাঠিয়ে বলে, এর তো দেখি ডর ভয় নেই।
শেকল ভাঙতে চাইছে প্রাণপণে!
ওপরতলা আমাকে নির্ঘাত ফাঁসি দেবে। ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক হলে,
খেতে দেবে মাছের ঝোল, ইলিশচিংড়ি ইত্যাদি।
যদি বলি, খাবো না!
ফাঁসির মঞ্চে উঠে যদি একটাও দীর্ঘশ্বাসনা ফেলি?
গলায় দড়ি পরাবার পরও যদি ভয় না পাওয়ার দুঃসাহস আমার হয়?