Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » ব্রহ্ম পুরাণ || Prithviraj Sen » Page 10

ব্রহ্ম পুরাণ || Prithviraj Sen

গোদাবরী তীরে ভৌবন নামে এক নগরে কৌশিক নামে এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তিনি খুবই সরল সাদাসিধে ছিলেন। কিন্তু ব্রাহ্মণী তার উল্টো, খল স্বভাবের। তাদের গৌতম নামে এক ছেলে ছিল তাদের। সেও ছিল ঠিক তার মার স্বভাবের।

মণিকুন্তল এক ধনী বণিকের পুত্র। অতি সরল, ধর্মভীরু সে। কারো কোনও কষ্ট দেখতে পারে না। মণিকুন্তল আর গৌতম–উভয় বিপরীত স্বভাবের, তবু কি কারণে জানি না তাদের মধ্যে খুব বন্ধুত্ব ছিল।

একবার মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে গৌতম বলল–চল আমরা দুজনে মিলে বাণিজ্য করতে যাই। শুধু শুধু বাড়িতে বসে কি লাভ? দেশ বিদেশে ঘোরাও হবে আর পয়সাও রোজগার হবে।

বন্ধুর কথা শুনে মণিকুন্তল বলল–কি দরকার? আমার বাবার যা সঞ্চয় যেভাবেই খরচা করি না কেন কোনও ভাবেই ফুরোবে না। সে সব ধন সম্পদে মানুষের সেবা করছি, ধর্ম কর্ম করছি, এর থেকে আর বেশি কী চাই?

মণিকুন্তলের কথা শুনে গৌতম তাকে তিরস্কার করে বলল–বাবার রোজগারের টাকায় ধর্ম কর্ম করছ। এটা কি একটা পুরুষের মত কথা হল? নিজে রোজগার করে খরচ কর, তবেই বাহাদুরি। ছেলের কাজ হবে টাকা রোজগার করে এনে বাবার হাতে দেওয়া। আর তুমি তার বিপরীত করছ।

মণিকুন্তল সেদিন আর কিছু বলল না, তবে মনে মনে চিন্তা করল, বন্ধু কথাটা কিছু মিথ্যা বলেনি। তাই দুজনে রাতের অন্ধকারে বেড়িয়ে পড়ল। মণিকুন্তল বেশ কিছু ধাতু সঙ্গে নিল।

কয়েকদিনে অনেক দূর এসে গেছে। একদিন গৌতম বলল বন্ধু তুমি যে এত ধর্ম-কর্ম কর, সত্যিই কি ধর্ম বলে কিছু আছে জগতে? আমার মনে হয় ধর্ম বলে কিছু নেই। তোমাকে একটা কাহিনী বলি। পরম ধার্মিক একজন ঋষি ছিলেন। পরম সদাচারী তিনি, ধর্ম-কর্ম ছাড়া থাকেন না। এক সময় তার এক পুত্র জন্ম লাভ করল। কি সুন্দর রূপ, দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। ঋষি দম্পতির আনন্দের সীমা নেই। নয়নের মণি সেই পুত্র। মাত্র কয়েক মাস বয়স তার, এখনও দাঁত ওঠেনি। চলতেও পারে না। হামাগুড়ি দিয়ে চলে। কখনও পিতার কোলে, কখনও মায়ের কোলে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। কোনও রোগ ব্যাধি নেই তার দেহে।

কিন্তু একদিন হঠাৎই বিনা কারণেই মৃত্যু হল সেই শিশুর। কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঋষি দম্পতি। মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়েন ঋষিপত্নী। কিছুতেই ধৈর্য ধরতে পারেন না। ঋষির মনেও গভীর শোক। ডাক ছেড়ে কাঁদতে পারেন না। কিন্তু অন্তরে জ্বলে পুড়ে মরছেন কিন্তু কেন এমন হল কোনরূপ রোগ তো ছিল না।

মৃত পুত্রকে নিয়ে কপাল গৌতম গেলেন রাজা শ্বেতের কাছে। জানালেন পুত্রের মৃত্যুর কথা। অবাক হলেন রাজা। তার রাজত্বে কারোরই তো অকাল মৃত্যু হয় না। এখন ব্যতিক্রম হল কেন? তিনি রাজা হয়ে কোনও অধর্মের কাজ তো করেন নি, যাতে তার রাজত্বে কাউকে অকালে প্রাণ দিতে হবে।

ঋষিকে সান্ত্বনা দিয়ে রাজা শ্বেত বললেন–ঋষিবর আপনি শোক ত্যাগ করুন। আমি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, যদি সাতদিনের মধ্যে এই শিশুর প্রাণ না দিতে পারি, তবে আগুনের চিতায় আমার প্রাণ বিসর্জন দেব।

এই প্রতিজ্ঞা করে রাজা শ্বেত বসলেন শিবের ধ্যান করার জন্য। তার ধ্যানে তুষ্ট হয়ে দিব্য মূর্তিতে শিব তার সামনে উপস্থিত হয়ে বললেন–রাজা তোমার প্রতি আমি প্রসন্ন। কী প্রার্থনা তোমার? আমাকে বল।

রাজা বললেন–আমার রাজ্যে অকাল মৃত্যু নেই। অথচ একটি ব্রাহ্মণ শিশুর মৃত্যু হল, তাই আমার একটিই প্রার্থনা, ওই ব্রাহ্মণ শিশুর প্রাণ আপনি ফিরিয়ে দিন। আর সত্যযুগের স্বাভাবিক যে আয়ু তা যেন সেই শিশুটি পায়।

মহাদেব ‘তথাস্তু’ বলে যমকে ডেকে পাঠালেন। যমরাজ সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত হলেন। মহাদেব বললেন–তুমি যুগের নিয়ম মানছ না কেন? আমার আদেশে এক্ষুণি তুমি ব্রাহ্মণের মৃত পুত্রের প্রাণ ফিরিয়ে দাও।

মহাদেবের কথার উত্তরে যমরাজের বলার আর কী আছে? বাধ্য হলেন শিশুর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে। রাজার প্রতিজ্ঞা রক্ষা হল। শ্বেতের রাজ্যে আবার শান্তি ফিরে এল।

“শিব ভক্ত শ্বেতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যমের দলের সঙ্গে কার্তিকের যুদ্ধ, যমাদির মৃত্যু ও শিবের বরে পুনরায় সকলের প্রাণ লাভ।”

.

শ্বেত নামে এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। শিবভক্ত তিনি। শিব পূজা না করে, জপাদি শেষ না করে তিনি কিছু আহার করতেন না। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌচেছেন। আয়ু পূর্ণ হতে আর বেশি দিন নেই। তথাপিও করে চলেছেন শিবের আরাধনা। শেষ সময়েও করে চলেছেন শিবমন্ত্র জপ।

পৃথিবীতে কার কখন মৃত্যু হবে, যমের সচিব চিত্রগুপ্তের খাতায় তা সব লেখা আছে। যখন যার মৃত্যুর সময়, তার কিছু পূর্বে যমরাজ তার দূতদের পাঠিয়েছেন তাকে আনবার জন্য। শ্বেতের কাছে এসে পৌঁছলেন তারা, কিন্তু বিপত্তি ঘটল শ্বেতের বাড়ির কাছে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল তারা।

যমপুরীতে চিত্রগুপ্ত বসে আছেন। শ্বেত গেলে তার বিচার হবে। কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে গেল। দূতেরা আসছে না কেন? ভাবিয়ে তুলল চিত্রগুপ্তকে। গিয়ে বললেন–যমরাজকে। যমরাজ তো অবাক! এমন তো হয়নি কখনও। সঙ্গে সঙ্গে ডাক দিলেন মৃত্যুকে। বললেন–যাও মৃত্যু, তুমি এক্ষুণি শ্বেতকে পাশে বেঁধে এখানে নিয়ে এস।

ভয়ংকর মৃত্যু তার পাশটি নিয়ে গর্বভরে ছুটে চলল শ্বেতের বাড়িতে। দরজার সামনে এসে দেখে সেই যমদূতেরা দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেনতোমরা অনেকক্ষণ এসেছ শ্বেতকে নিয়ে যেতে। তা এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন?

দূতেরা বলল–কি করব বুঝতে পারছি না। ভিতরের দিকে একবার চেয়ে দেখ স্বয়ং শিব শ্বেতকে আগলে বসে আছেন।

আমাদের এখানে ধর্ম বলতে কিছু নেই, যদি থাকত তাহলে ধার্মিকরা এত কষ্ট পেত না। যারা জগতে সুখ ভোগ করছে তারা আনন্দে দিন কাটাচ্ছে।

মণিকুন্তল বলল–না তোমার কথা ঠিক নয়। যারা এখন সুখভোগ করছে, দুদিন পরে তারা দুঃখ ভোগ করবে।

গৌতম বলল-ও সব তোমার মনগড়া কথা। চোখের সামনে আমরা দেখছি যা, তাকে কি তুমি উড়িয়ে দেবে?

মণিকুন্তল বলল–না আমি তোমার কথা মানতে পারছি না। চোখের সামনে যা দেখছি তা সবই যে খাঁটি–তা ঠিক নয়।

তারপর গৌতম বলল–বন্ধু আমাদের এভাবে তর্কাতর্কির শেষ হবে না, তার চেয়ে এখানকার

জ্ঞানী গুণী যারা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেই হয়। তুমি যাকে ধর্ম বলছ, সেটা আছে কিনা?

মণিকুন্তল বলল–তাই হোক, তারা নিশ্চয়ই আমার মতে সায় দেবেন।

হাসতে হাসতে গৌতম বলল–তাহলে বাজি রাখতে হয়। যদি তুমি হেরে যাও তাহলে তোমার যত ধনরত্ন আছে তা আমাকে দিতে হবে। এই প্রতিজ্ঞা কর। তবে তো বাজি ধরাই যায়।

ধর্মের প্রতি মণিকুন্তলের স্থির বিশ্বাস। তাই সে রাজি হয়ে গেল।

তারপর তারা চলল আশে পাশে কিছু জ্ঞানীগুণী লোকের কাছে। তাদের মতামত জানতে তারা বললেন–ধর্ম কর্ম আমরা জানি না, শুধু জানি পৃথিবীতে এসেছি সুখভোগ করতে।

এই কথা শুনে মণিকুন্তলের মনটা খুব খারাপ। বিষণ্ণ হয়ে বসে আছে দেখে গৌতম হেসে বলল–কি বন্ধু বাজিতে হেরেও কি বলবে, ধর্ম আছে?

মণিকুন্তল বলল–হ্যাঁ আছে। সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলেও বলব ধর্ম আছে। যারা মানে না, তাদেরকে আমি গ্রাহ্যই করি না।

গৌতম বলল–বেশ তাহলে বাজি ধর। আমরা অন্য দেশে গিয়ে ঐ একই কথা অন্য প্রবীণদের জিজ্ঞাসা করব। এবারের বাজি দুটি হাত। মণিকুন্তল রাজি হল। প্রবীণরা শুনে হেসে উড়িয়ে দিল। ধর্ম বলে কিছুই নেই। বাসায় ফিরে এসে গৌতম একটা তীক্ষ্ম অস্ত্র দিয়ে মণিকুন্তলের দুটো হাত কেটে নিল।

গৌতম বলল–কি এখনও বলবে ধর্ম আছে?

মণিকুন্তল যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে বলল–হ্যাঁ আছে। গৌতম তার বন্ধু হয়ে এমন অমানবিক কাজ করল–তথাপি মণিকুন্তল তাকেও ত্যাগ করল না। মনে মনে গৌতম নতুন কৌশল আঁটল। যাতে মণি কুন্তলকে প্রাণে মারা যায়। ঘুরতে ঘুরতে তারা এল গঙ্গার তীরে যোগেশ্বর হরির মন্দিরে। মণিকুন্তল গঙ্গা ও হরির জয়ধ্বনি করল। কিন্তু গৌতম বলল–ধর্ম গেল, হাত গেল, তাও ধর্মের জয়। দিচ্ছ? আর একবার যদি ভগবানের নাম উচ্চারণ কর তাহলে তোমাকে হত্যাই করে ফেলব। বন্ধু বলে ক্ষমা করব না।

মণিকুন্তল হাসতে হাসতে বলল–যতক্ষণ এই দেহে প্রাণ থাকবে ততক্ষণ আমি এই এক কথাই বলব।

গৌতম একেবারে খ্যাপা কুকুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরি দিয়ে তার চোখ উপড়ে নিল, একা ফেলে চলে গেল।

মণিকুন্তলের হাত নেই, চোখ নেই, সে বন্ধু বলে ডাকল! কিন্তু সাড়া না পেয়ে বুঝল তাকে একা ফেলে গৌতম চলে গেছে।

দিনের শেষে রাত হল। কিছুই বুঝল না সে। যন্ত্রণায় অচেতন হয়ে পড়ে আছে, সেদিন ছিল শুক্লপক্ষের একাদশী। আকাশের কোলে একফালি চাঁদ! প্রতিমাসে এই রাতেই লঙ্কা থেকে বিভীষণের পুত্র তাঁর অনুচরদের নিয়ে এই মন্দিরে আসতেন। সেদিন সবাই এসেছে। মণিকুন্তলকে ঐ অবস্থায় দেখে, ফিরে বিভীষণ পুত্র দয়াপরবশ পিতাকে জানাল। মন্দিরের পাশেই ছিল বিশল্যকরণী গাছ বিভীষণ তা দেখে বললেন–এর ডাল ক্ষতস্থানে লাগালেই হাত আর চোখ ফিরে পাবে।

পিতার কথা শুনে পুত্র তাই করল। মণিকুন্তল হাত ও চোখ ফিরে পেল, চমকে উঠে প্রিয়বন্ধু গৌতমকে ডাকল, মনে মনে ভাবছে, এসব গৌতমই বুঝি করেছে।

আড়াল থেকে বিভীষণ এই ঘটনা দেখে সঙ্গীদের নিয়ে ফিরে গেলেন লঙ্কায় আর মণিকুন্তল গঙ্গায় স্নান করে বিষ্ণুর পূজা করে বাড়ি ফিরবার কথা ভাবলো। একা একা মহাপুরানগরীতে উপস্থিত হল। সেই রাজ্যের রাজার নাম বলবান। তার একমাত্র কন্যা পরম রূপশ্রী। কিন্তু তার চোখ কানা, বহু চেষ্টা করে তা সারাতে ব্যর্থ, রাজা প্রতিজ্ঞা করল যে তার মেয়ের চোখ ফিরিয়ে দিতে পারবে তার সাথেই কন্যার বিয়ে দেবে।

মণিকুন্তল সে কথা শুনে হাজির হল। সে জানাল সে কন্যার দৃষ্টি দান করতে সমর্থ। রাজা খুশি হয়ে তাকে অন্দরমহলে পাঠিয়ে দিলেন, মণিকুন্তলের স্পর্শে রাজকনা দৃষ্টি ফিরে পেল। রাজা আনন্দে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করল। আর জানতে চাইল কেমন করে এই অসম্ভব সম্ভব হল?

মণিকুন্তল কিছু গোপন করল না। শেষে বলল–ধর্মই শ্রেষ্ঠ বল যাকে তিনি সারা জীবন সঙ্গী করে রেখেছে।

রাজা বলরাম খুব খুশি হয়ে জাঁকজমক করে মণিকুন্তলের সঙ্গে কন্যার বিয়ে দিলেন। রাজার জামাতা হয়ে মণিকুন্তল রয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়িতেই। মাঝে মাঝে বন্ধুর কথা মনে পড়ে। কেমন আছে সে? কোথায় আছে কি করছে সে? গৌতমের প্রতি মণিকুন্তলের এতটুকুও বিরূপতা নেই।

রাজা বলবান রাজকার্য থেকে অবসর নিয়ে মণিকুন্তলকেই রাজসিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে বনে গমন করলেন। বানপ্রস্থাশ্রম গ্রহণ করলেন। একদিন মণিকুন্তল রাজকার্য পরিচালনা করছেন, এমন সময় প্রহরীরা একজনকে দৃঢ়ভাবে বন্দি করে রাজদরবারে নিয়ে এল। মণিকুন্তলের চিনতে ভুলতে হল না, এতো সেই গৌতম, তার বন্ধু, সঙ্গে সঙ্গে সিংহাসন ছেড়ে উঠে গেলেন তার কাছে, তার বাঁধন খুলে দিয়ে আলিঙ্গন করে বললেন–এ কি দশা তোমার?

গৌতম এখন নিঃস্ব। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। তাই বন্দি হয়েছে। তার দু চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। মণিকুন্তল গৌতমকে শান্ত করে তার পিতা বৃদ্ধ কৌশিককে আনিয়ে বহু অর্থ দান করে বন্ধুর সঙ্গে স্বদেশে প্রেরণ করলেন। আর উপদেশ দিলেন–গোদাবরীতে স্নান করে যোগেশ্বর শ্রীবিষ্ণুর পূজা করে তারপর যেন বাড়ি ফেরে।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *