বেলা যায়? কত হাত পড়ন্ত সূর্যে তবু তুই আজ নামবি কিশোর?
সামান্য শরীর তোর! অত ছায়া লুকোবি কোথায়?
ছায়া চলে যায়, তবু চাস, তবু জেদীপনা?
–তবু ছায়া চাই? জলছায়া-ফলছায়া-শয্যাছায়া স্মৃতিছায়া?
মৃত্তিকানক্ষত্রছায়া? ছায়া চাই–ছায়া চাই মনে ও মাটিতে?
কত হাত পড়ন্ত বলয় বোধে তবে তুই নামবি কিশোর?
কত কুটিলার বানে ভেলার মতোন তার দেহকে ভাসিয়ে
জ্যোৎস্না আকাশে চাঁদ, সবুজ সোনার থালে ঢেকে দিবে জলে ভাসা লাশ?
ভিক্ষুণীর আসন্ন প্রসব যাতনায় মেলে দেওয়া গোপন জন্মের প্রহরায়
প্রথম শিওর হলো ক্ষুধা উন্মীলন! রে কিশোর, ও কি তোর শত্রু না
সমাজ?
তুই তারও ছায়া চাস? পড়ন্ত শতাব্দী বেলা শান্তি চায়
তবু বীজ ফলেনা কোথাও শুধু শতাব্দী ঘুমায়র্নার শিহরায় সব চলে
যায়,
সমস্ত প্রস্থানে তবু ছায়া চাস? শুভছায়া-শান্তিভায়া-স্বচ্ছছায়া : মনে ও
মাটিতে?
পোড় দেশ! দৈবে পুড়ে যায়! দৈবে আর মেলেনা মেধায়;
বেলা যায়; চাষী বলদের হালে চাষনা মৃত্তিকা : ঋণী হয় কেউ।।
কেউ শতাব্দীর গোপন গুহায় বসে লোহার শাবলে শান দেয়!
বেলা যায়! বিবর্ণ বিদ্যায় বুকে বেদনায় বেলা যায় :
ছায়া চলে যায় : ছায়া-শুভছায়া ও তবু ছায়া চাস তুই, তবু জেদীপনা?