দেখো,জোরে বৃষ্টি এলো,
বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
এক নাগাড়ে বৃষ্টিশব্দ
আমায় ভাসিয়ে নিয়ে চলছে।
আমার কুল নেই, কিনারা নেই,
নেই কোন ঠিকানা।
তুমি আর্য্য পুরুষ ভ্রাম্যমাণ কৃষ্ণকালো মেঘ হয়ে নেমে এসেছো আমার হৃদয়ের মাটিতে।
খড় কুটোর মতো ভেসে চলেছি তোমার টানে।
তোমার সোঁদা গন্ধে,
বৃষ্টিস্নাত সুখে সবটুকু উষ্ণতা মেখে।
ঠোঁটে ঠোঁট বুকে বুক মাখিয়ে এঁকে চলি স্নেহের চুম্বন দু চোখে স্বপ্ন মেখে।
কৃষ্ণকালো ঘনমেঘ ঘোর বর্ষা হয়ে নেমে এলেই বৃষ্টি আসে নুপুর পায়ে রিমঝিম সুরে।
আমি বাড় বাড়ন্ত যৌবনা নদী,বয়ে যাই প্রেমের জোয়ারে বন্যা আসে উথালি পাথালি বুকে।
কি অসম্ভব বৃষ্টি!
যেন একটা উৎসবে মেতেছে ধরনী!
বর্ষার ঔরসে বৃষ্টির গর্ভে জন্ম নেয় নতুন প্রেম,নতুন কবিতা!
চরাচর জুড়ে সবুজের সমারোহ নব কিশলয়ে।
রোদের পরশ লাগতেই বৃষ্টি কৃষ্ণকালো মেঘের আড়ালে কাজল কালো চোখে যায় হারিয়ে।
থেকে যায় বর্ষার বুকে বৃষ্টির গভীর ভালোবাসার দাগ।
দেখো, রোদ উঠেছে…
তুমি তখন আকাশের বুকে শঙ্খচিল। আমি তখন পদ্মপাতায় ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি জল টলমল।।