বৃন্ত হতে ছিন্ন করি শুভ্র কমলগুলি
কে এনেছে তুলি।
তবু ওরা চায় যে মুখে নাই তাহে ভর্ৎসনা,
শেষ-নিমেষের পেয়ালা-ভরা অম্লান সান্ত্বনা–
মরণের মন্দিরে এসে মাধুরী-সংগীত
বাজায় ক্লান্তি ভুলি
শুভ্র কমলগুলি।
এরা তোমার ক্ষণকালের নিবিড়নন্দন
নীরব চুম্বন,
মুগ্ধ নয়ন-পল্লবেতে মিলায় মরি মরি
তোমারি সুগন্ধ-শ্বাসে সকল চিত্ত ভরি–
হে কল্যাণলক্ষ্মী, এরা আমার মর্মে তব
করুণ অঙ্গুলি
শুভ্র কমলগুলি।