জঠর মধ্যে উথাল পাথাল ক্ষুধার অবাধ ঢেউ,
বুভুক্ষু প্রাণ অনাহারে কাঁদে খোঁজ যে রাখেনা কেউ।
চালচুলোহীন পথে পড়ে থাকে নেই আহ্লাদ সাধ,
হতদরিদ্র কপাল মন্দ পায়না সুখের স্বাদ।
ঝড় জল মাথে কোনোমতে থাকে খোলা আকাশের তলে,
জ্বর রোগ জ্বালা সহ্য সবই করে যায় মনোবলে।
ক্ষুধিত শিশুর ঘুম নেই চোখে নিদ্রাবিহীন রাত,
নিত্যদিবস এভাবেই কাটে অনাহার দেয় সাথ।
নিঝুম রাত কান্নায় ভেজে পথশিশুর আর্তনাদে,
পূর্ণিমা চাঁদ ঝলসানো রুটি ভেবে হৃদি দুখে কাঁদে।
মরীচিকা হাসে জীবন মরুতে স্বপনের সুখ তায়,
ছেঁড়া ছেঁড়া আশা লয়ে বুক মাঝে সুখ তরে মন ধায়।
মনের বেদন চেপে রেখে তবু জীবনের পথ চলা,
সারা দিনমান খাটুনি করেও হাসি মুখে কথা বলা।
রাতের হায়না শিকার আশায় হানা দেয় শিশু দলে,
বলপূর্বক অথবা ভুলিয়ে তুলে নিয়ে যায় চলে।
অনৈতিক কাজ করায় সমাজে লাঞ্ছনা দেয় শত,
স্বভাবটা শেষে বদলে তাদের হয় চোর গুন্ডার মত।
গরিব শিশুরা নীরব নিভৃতে হারায় আঁধার মাঝে,
এভাবেই কাটে ভবিষ্যত যে অবৈধ যত কাজে।
পৃথ্বী গর্ভে এসব শিশুর অসহায় অশ্রুপাত,
রাতের কালোয় গুমরে মিলায় বোবা হয়ে দেখে রাত।