আমিই সেই বারবণিতা !
তুমিও দেখেছ আমাকে কোথাও না কোথাও ।
নিতান্ত ভদ্রতার চর্মচক্ষে , ঘেন্নাভরে , নাকসিঁটকে ।
কখনো ঐ ল্যাম্পোষ্টের নীচে গালে রঙ মেখে ,
কখনো বা মধ্যরাতে বাইপাশের ধারে ,
গাড়ির ভিতর ভদ্রলোকের সাথে শারীরিক বেচাকেনাতে ।
কত পুরুষের বীর্যে ভিজেছে এ শরীর ,
কত পুরুষের কামানলে পুড়েছে রাত্রিদিন ।
দিনের আলোয় যে পুরুষ খোঁজে সতী নারী ,
রাতের অন্ধকারে তাকেই পাওয়া যায় বরাঙ্গনার বুকের খাঁজে ।
তারপর গোটা রাত ধরে খুবলে খায় ,
রক্তাক্ত করে চরম পাশবিকতায় ।
তবুও পুরুষ তুমি মহান !
আর নারী ; তুমি অসতী , কুলটা , চরিত্রহীনা ।
শুধুমাত্র পুরুষ সুখের যন্ত্র তুমি ।
বেশ্যা , তুমি বড়ই বেমানান আটপৌড়ে সাজে ,
বেআব্রু বারবণিতা নিষিদ্ধ অন্দরমহলে ,
তথাকথিত ভদ্র সমাজে তুমি ব্রাত্য ভীষণভাবে ।
যে নিষিদ্ধ ফলে পুরুষ তুমি পেয়েছিলে সংযম ,
সেই লগ্নেই জন্ম জেনো সহস্র বরাঙ্গনার ।