হে মোর প্রিয়তম বাংলা
আর কত খুন হবে বলো না?
ওগো নেতা-নেত্রী; ওগো হে দেশভক্ত
একবার বলো; শুধু একবার বলো;
তোমাদের চক্ষুষে এভাবে আর ঝরবে কত রক্ত?
ভণ্ড সব নেতা-নেত্রী; ভণ্ড সব বুদ্ধিজীবী; ———-
ভণ্ড সব শিক্ষাবিদ, আজ সবাই যেন ঘুমন্ত।
বাংলার গর্ব হয় দেখো খর্ব
সবল পিপিলিকার গজায় ডানা মরিবার তরে;
আসিছে কোন বসন্ত?
হাঁকি দিয়ে ঝাকি মারে শালা সব ধান্দা বাজের দল
বলবো কি আর ইহাদের কাহিনী
নেতা নয়; নেতা নয়; এরা সবাই আসলে সন্ত্রাস বাহিনী
ইহাদের নেই প্রয়োজন গণতন্ত্রের
ইহারা বিশ্বাসী এক মন্ত্রে,
হয়নি পরিবর্তন হয়েছে কেবল বিবর্তন
আর হয়েছে সাদা নীল রঙে সামাজিক ভোলবদল।
আমি খুব সাধারন নাগরিক
মহামান্য নেতাদের তামাশায় জর্জরিত এই
সমাজের দেখি চারিদিক।
আর জ্বলবে কবে মানবিক শান্তির আলো?
হে মোর বঙ্গ। এই অসহনীয় সময়ে দুনিয়া বোঝাই
শিক্ষিত মানুষের অন্ধ সমাজ লাগছে না ভালো।
ভেবেছিলাম এখানে নির্জন
সেই এখানেও শোরগোল;
সাধনা বিঘ্নিত হয় জনতার দরবারে
সমাজ চেতনার বিষয়বস্তুরা আজ গভীর অন্ধকারে,
আগাছাগুলো উর্বর হয়ে ওঠে ক্রমশ
অদূরেই ঘুমিয়ে আছে সুস্থ সভ্যতা যেন সে এক মুমূর্ষ,
অচেনা হাওয়ায় ভেসে যায় সভ্যতার ইতিহাস
কৃত্তিম কৌশল ভেঙে দেয় মেরুদন্ড নিজ ভূমিতে যেন হই পরবাস;
অন্তিম লগ্নেও শেষ সময়টুকু খুঁজে চলি আজ
ঠিকানার ঠিকানায় কারা যেন দেওয়াল তুলে দিয়েছিল
মরে যাওয়া প্রজাপতির কাছে এ যেন বৃথা বাহারি সাজ।
তবু সময়ের অপেক্ষা সময় জানান দেবে একদিন;
কল্পনার পাথরও প্রাণ পাবে একদিন;
হয়তো সমাধান সূত্র মিলে যাবে সেইদিন,
হার মানা হারের পরিণতি সময়ের গায়ে লেখা
সময়ের ধারায় তারাদের ক্ষয়ক্ষতি অনিশ্চিত
খেয়ালের মরুভূমি স্বপ্নের ইমারত আঁকে
শেষমেষ প্রত্যাশার নির্মমতার ছবিতে দেখতে হবে তাকে।