বন্দুকের নলটা ঘোরাও
ঘোরাও নিজের দিকে;এই যে তুমি,
হাঁ, তোমাকেই বলছি ওহে সেনাপতি!
প্রতপ্ত বালুকারাশি ধূলি ঝড়ে উড়ে যায় স্থান হতে স্থানান্তরে।
মরুঝড়ে কতো প্রাণী উড়ে যায় মরে যায় মরে
তুমিওকি নাগাড়ে চালিয়েছ গুলি,সেনাপতি ঝড়ের আকারে!
ওদেরও কি মানুষ ভাবার কোনো দরকার পড়েনি তোমার ?
তোমার আদেশে তাই কাটামুণ্ড ইন্টারনেটে
ছবি হয়ে বেরোবে বিকেলে!
দুনিয়াটা বুঝে যাবে কতখানি নিষ্ঠুর হতে পার তুমি।
অপরাধী নানাছলে সপক্ষে যুক্তি খাড়া করে নির্দয় অন্তরে।
সাম্রাজ্যবাদের পোষমানা দালালের দল,
অলক্ষে সবার রক্ত শুষে খায় অবিরল।
পৃথিবীর সুপ্রাচীন সভ্যতা ধ্বংস করে উল্লাসে ফেটে পড়ে শেষে উল্লাসে মেতে ওঠে রাতচরা দালালের দল।
প্যারিসের রাস্তায় খড়কুটো হয়ে যায় প্রাচীন সে সভ্যতার অশেষ সম্বল।
সেনাপতি, তুমিও কি উহাদের দেখাদেখি বিরল মস্তিষ্ক রোগে হয়েছ বিকল!
মুণ্ড কেটে নিল, তোমারই ভাড়াটে সৈন্যদল!
শুধুই রক্তের খোঁজে, দয়া- মায়া মনুষ্যত্বের সংগ্রাম প্রবল কোনো মূল্য নেই তার! আশ্চর্য বিরল!
বিবেকের ধার এতোখানি ভোঁতা হল, তীব্র হল তোমাদের রিরংষা প্রবল!
তাই বুঝি মাথা কেটে নিলে,সাজা দিয়ে খুলে দিলে আদিম সে হিংস্রতার রক্ত অবিরল!
এতো হিংস্র হলে তুমি! লজ্জা পেল বাঘ, সিংহ,হায়নার দল!
তোমাকেই বলছি সেনাপতি,
এখনও কি বলতে পার কোথায় উধাও হল নাইজেরীয় মেয়েদের দল?
হায় সেনাপতি,খুলে দাও দ্বার।ছেড়ে দাও ওই সব বুভুক্ষের দল।
বন্ধ করো হানাহানি, ধর্মের বিভেদে খুনোখুনি, আর যত ক্ষমতা দখল।
এস হাত মিলাও এবার। দল বেঁধে সারি সারি পরো শৃঙ্খল।হিংসা দ্বেষ দূর হোক,
বিশ্বপ্রেম মানবতা জয়ী হোক, স্তব্ধ হোক হানাহানি বিভেদ আর বিদ্বেষ গরল।