উতলা গগনে উদাসী হাওয়ায় বনমর্মরে তরুর ছায়ায়,
নিভৃত চরণে কে যে চলে যায় বনদেবী বনছায়।
সে বিজন বনে ব্যাকুল নয়নে বসে থাকে কোন দূরাশায়,
বনদেবী সে কি দূর পথ চাহি একেলা চলিয়া যায়।
কি মায়া বাঁধনে পরাণের টানে কাকে সে খুঁজে বেড়ায়।
আমি, কি না জানি কেমনে বাখানি স্বপনেতে সে হারায়।
সজনী, আমি হাসিয়া ভাসিয়া নয়নের জলে
কি ভাবিয়া মজি কি সুখ সাগরে পরাণ উথলি যায়।
তুমি জানো নাই, কোথা খুঁজে পাই কেবলই চোখে হারায়।
আমার রোদন বসন ভূষণ যতন যে বৃথা যায়।
কি মায়ার ডোরে বাঁধে সে আমারে কি ভাবিয়া মরি হায়,
বুঝিতে পারো না ব্যাকুল এ ভাবনা সময় চলিয়া যায়।
মন সনাতন মানে না বারণ কেবলই সে পিছে ধায়,
সখী, সহিতে পারি না বিরহ যাতনা অশ্রু ঝরিয়া যায়।
থাক সখী তবে বিরহ বেদন অশ্রু ঝরুক না মেনে বারণ
সে পরাণ সখা থাকুন অধরা আমি থাকি নিরুপায়।
সে তো জানে আমি কতো অসহায়, বারে বারে দীপ তাই নিভে যায়
তবে যদি আসে পূজিব প্রকাশে ধরি দুটি রাঙা পায়।
পূজার অর্ঘ সাজানো কি বাকি, ফিরে এসো তুমি দিও নাকো ফাঁকি,
বনদেবী হয়ে ফিরিবো একাকী কেমনে সহিবে তায়,
তুমি জানো আমি কতো নিরূপায় ছায়া হয়ে আমি ঘুরি তব পায়
কেন তবু মোরে কাঁদালে আঁধারে বুঝিতে পারিনা হায়।
এসো প্রাণনাথ বাড়াও দুহাত আপন করিয়া নাও
আমি অনুরাধা পায়ে ধরে সাধা এবার প্রাণ বাঁচাও।।