চকচকে দিনারের মতো ভোরবেলা ঝলসাচ্ছে
চতুর্দিকে, প্রতিবেশী স্বাস্থ্যবান প্রৌঢ় মেতেছেন
জগিং এ প্রত্যুষ থেকে। সবেমাত্র আমি এক পাতা
ডায়েরি লিখেছি আর খেয়েছি পরিজ,দুটো টোস্ট
আস্তে সুস্থে। আবার নতুন ক’রে পড়ি মুগ্ধাবেশে
ইয়েটস্-এর পংক্তিমালা, সধূম চায়ের বাটি কাছে
রাখা আছে, সানন্দ চুমুক দিই মাঝে মাঝে আর
দূরগামী মেঘ দেখি কখনো কখনো, ধীরে বয়
আমার সময়; কাল বারোটায় চক্ষু চিকিৎসক
দেখবেন আমাকে, কৌশিক সঙ্গে যাবে। এরই মধ্যে
বাংলাদেশ কী ব্যাকুল করে টেলিফোন। কণ্ঠস্বরে
তার মমতার রেণু ঝরে, বসে থাকি একা-একা
ঠাণ্ডা ঘরে। স্বপ্নের ভগ্নাংশগুলো জড়ো করি শুধু
ধু-ধু প্রতিবেশ থেকে। তোমার অনুপস্থিতি আজ
কালো গোলাপের মতো তীব্র ফুটে আছে সত্তা জুড়ে;
দেহমন হলো কালি, হাড় থেকে ওঠে কালো ধোঁয়া!