গঙ্গা সাগরে দুদিন এই ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বসে প্রথমেই মনে

না আমি অসাধারণ কিছু ন‌ই;গড়পড়তা আর পাঁচজন সাধারণের মতোই !খেটে

নদীর নাম কর্মনাশা ভারতবর্ষ নদী মাতৃক দেশ। সেই বৈদিক কাল

এখনো কান পাতলেবহুদূর থেকে ভেসে আসে আর্তস্বরে ডাকমিঠু…নতুই কোথায়?ভাত হয়ে

দেবযানী ,আমি কচবহুদিন পর ……উদগ্রীব জেনে নিতে তোমার খবর !মনে

মহাভারতের এক বিস্মৃত চরিত্র একলব্য মহাভারত মানে এক কথায় কৌরব

তাল কুড়ানোর মজা ষাটের দশকে গ্রামবাংলায় আমরা যারা বড় হয়েছি

নীল পলাশের আহ্বানে ব‌ই মেলার নয় নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে

আমার ঘরেতে মৃত্যু মিছিল বারেবারে ধেয়ে আসে ;যা কিছু ঘটুক

অবণীকে হয়তো বা মনে নেই কার‌ওনোনা ধরা বাড়িটাও পাল্টেছে ভোলসেখানে

প্রথম পর্ব কুরুক্ষেত্র ষুদ্ধ শেষ, যুধিষ্ঠির এখন হস্তিনাপুরের রাজা! উভয়

বর্তমানের গোলকধাঁধায় ;দশচক্রে ভগবান‌ও ভূত হয়!তাই তোমার আমার ভবিষ্যৎ;অতলান্ত কালের

বিশ্বাস করি বা না করি অলৌকিক ঘটনা আজ‌ও ঘটে অনেক

হয়তো সেদিন সময় পাবো নাতুলে নেবে কেউ এক ঝটকায়কাল বোশেখির

বদলে যাচ্ছে ভাষা বিন্যাস;মনের অন্তঃস্থলে যে কথাগুলি রূপ নিয়েছিল••কলমের ডগায়

মাঘ পেরোতেই বিমলাদির ফোন;ফাগুনের হাওয়ায় ভেসে যাসনে কোথাওএবছর রঙের উৎসবে

সকালের অপেক্ষা আলতো ছুঁয়ে দেয় অপরাহ্নকে;ফাগুনের বনে আগুন লাগে শিমুল

এটাই তোমার কাল,বিশুদ্ধবাদীতার ছদ্মনামে,নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে,তোমার এই ঊন্নাসিক মানষিকতাই,তোমাকে

কাজে ও কথায় বিস্তর ফারাক,নন্দনের বাগানে নেই নান্দনিকতার ছিটেফোঁটা!দিতি পুত্রদের

শরীর সেঁকেছি মেঘলা দুপুরে উপোষী পৌষ মাসে,হারানো নদীর বাঁকেতে দাঁড়িয়ে

সূচনা পর্ব মহাভারতের প্রতিটি পাতাই যেন রত্নখনি,অমূল‍্য সম্পদে পরিপূর্ণ, প্রতিটি

যুক্তি তক্ক মানছে না কেউ ওরা সবাই ধান্ধাবাজ,এ ওর ঘাড়ে

যুক্তিজাল বিছিয়ে,নিজেকে যতই নির্দোষ প্রমাণ করো,অমোঘ অস্ত্র আছে সময়ের হাতে!একদিন

কি হবে আর দেখা হয়েফিরতি পথের শেষ যামেএখান থেকেই পথ

দেখছি,চোখের সামনে,ভয়ানক এই দিনগুলি,এ কেমন তোমাদের চেহারা?বলেছিলে তোমরাই হবে আগামীর

এক শ্রাবণী রাতে দূর্গাপূজার তখনও মাস দেড়েক বাকি, একটা বিশেষ

স‍্যান্টিং সালটা ইংরেজি ১৯৮৭ আমি তখন চাকুরীসূত্রে মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায়

দিল্লির বাদশা আর বাংলার নবাব,এদের যে খেলা তার নেইকো জবাব!এ

তারপর জীবনের সব লেন দেন,বুকের গভীরে নিয়ে মৌন হইলেম।তবুও কি

একদিন ঈশ্বরের সাথে দেখা হলো,এই লকডাউনের ভেতরেই!মুখে মাস্ক হাতে গ্লাভস

তুমি যেদিন আমার সাথে দিক বদলে নিলে,আগাম খবর পেয়েছিলো সেদিন

দ্রোণাচার্যের চক্রব‍্যুহে বন্দী রাজা যুধিষ্ঠির,মিথ্যে বলায় সিদ্ধ হলেন যদিও তিনি

হঠাৎ করে চড়া গলায় ধমক দিলো কেউ,উজবুক তুই মূর্খ একটা

একটুখানি বৃষ্টি হলেই সারা শরীর ভেজেমরচে ধরা বাতাস এসে এলিয়ে

রাত গভীর হতেই নক্ষত্র পতন,সহস্রাব্দের ইতিহাস প‍্যাপিরাসের পাতায় ছেঁড়া তমসুকে

পাাঁচজন একসাথে কষে দিলে আড্ডাঝোলা থেকে বের হয় রকমারি গাড্ডা,কেউ

তুমি ছুঁয়ে দিতেই আমার আকাশে ফুটেছিলো রঙধনুদখিনা বাতাস চুপিসাড়ে ঢুকেছিলো

কথাগুলি থমকে দাঁড়ায় দোরগোড়ায়,বাইরে তখন হাজার লোকের হট্টগোল!ভ্রু কুঁচকে গন্ধ

তোমার দিগন্ত জোড়া নীল শাড়ির আঁচলের ছোঁয়ায়আমার বিবর্ণ পড়ন্ত বিকেল