প্রতি হিংসার আগুন
[দিনসাতেক পরে প্রদীপবাবু দেখলেন বাড়ির সামনে তার স্ত্রীর সেই স্কুর্টিটি পড়ে আছে।।
কিছুটা আশ্চর্য হয়ে স্কুটির কাছে গিয়ে দেখলেন— স্কুটির হ্যান্ডেলেএকটা
চিঠি ঝোলানো। ]
প্রথমেই ভালোবাসা জানাই তোমাকে। তুমি স্কুলে চাকরি পেয়েছো শুনেছিলাম।তোমাকে সেদিন স্কুর্টি চালিয়ে স্কুলে যেতেও দেখলাম। তুমি আমায় চিনতে পারনি।আমি তোমার স্কুলের সামনে দিয়ে আসছিলাম। কথা না বলে আমি প্রতি হিংসা বশত তোমার স্কুর্টিটি চুরি করি।তুমি আমায় ভুলে গেলেও আমি তো তোমাকে আজও ভুলতে পারিনি।
তুমি ভালো থাক সেটাই তো আমি চাইতাম। না আজও চাকরি জোটেনি তোমার প্রাক্তন বিবেকের। ভুল বুঝতে পেরেছি।আমায় ক্ষমা করে দিও। তোমাকে পাইনি জীবনে। তাই তোমার নতুন স্কুর্টি নিয়ে পালিয়েছিলাম তোমার স্কুল থেকে। প্রথমে চোরাই মাল খরিদকারীর কাছে গেছিলাম। সেখানে যেতেই একজন বলেছিল -আরে মাষ্টার বউটার স্কুর্টি তোমার কাছে কেন?
ম্যাডাম বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছেন । তারপর কিছু না বলে বিপদ বুঝে ওখান থেকে পালালাম।
সেদিন রাস্তায় পুলিশ চেকিং চলছিল।আমার মাথায় হেলমেট ছিল না।
পুলিশ বললো -হেলমেট? তারপর কটমট করে স্কুর্টির দিকে তাকিয়ে আছে দেখেই, কোনোরকমে স্কুর্টি ঘুরিয়ে নিয়ে উল্টো দিকে পালালাম। আমায় ক্ষমা কোরো।প্রতিহিংসা নেওয়া হল না।তুমি ভালো থেকো। তোমার বাহনটিকে তোমার বাড়ির সামনে রেখে গেলাম।
ইতি তোমার বিবেক।
[চিঠিটি এনে প্রদীপ মাষ্টারমশাই দীপাদিদিমণির হাতে দিল।
দীপা চিঠিটি নিজে পড়ে দেখল,বিবেক তার সংসারে প্রতি হিংসার আগুন জ্বেলে দিয়ে গেছে।]