জানলার বাইরে তাকাও, দেখে না ও আকাশ,
ভাসমান মেঘ, গাছের পাতার নাচন, পাশের বাড়ির
কার্নিশে পায়রা যুগল, তারপর তোমার খাতার পাতায়
তৈরি হবে কবিতার পঙ্ক্তি; রোদ হাসবে, দোয়েল
শিস বুলোবে হাওয়ায়, চাই কি আমার মুখ
ভেসে উঠবে তোমার পঙ্ক্তিমালায়; বললে তুমি
ঠোঁটে মৃদু হাসি খেলিয়ে। তোমার সুহাস
কণ্ঠস্বরে কৌতুকের ভঙ্গি ছিল। প্রকৃতির প্রতি আমার
অনুরাগ তোমার অজানা নয়। চোখ-মন-জুড়ানো
রূপ প্রকৃতির, এই সত্য সবার কাছেই উদ্ভাসিত। আমি বারবার
প্রকৃতির কাছে ফিরে যাই, তা-ও মিথ্যে নয়। অথচ
এই প্রকৃতির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে রুদ্র রূপ, যেমন মোহিনী,
নিরীহ, কোমল, শান্ত নদী হঠাৎ কখনও কখনও
কী ভয়ঙ্কর ফুঁসতে থাকে। তোমার মধ্যেও এই দু’টি রূপের খেলা।