একথালা জলঢালা সাদা পান্তা,
হাপুস হুপুস করে খাচ্ছে চয়ন,
সব স্বপ্নগুলো ডুবিয়ে দিয়েছিল পান্তায়,
গতবছর বিবেক সরকারি চাকরি পেয়েছে,
ভাবতে ভাবতে কাঁচা পেঁয়াজে দিল কামড়,
রঙিন দুনিয়া কোনদিন দেখেনি সে,
ছোট থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়ছে,
সুমনা তার সিদ্ধান্ত বদলেছে,
অপছন্দের বিবেককে জীবনসঙ্গী করবে,
চয়নের ভালোবাসা আজ জঞ্জালে,
ভাবতে ভাবতে কাঁচা লঙ্কায় কামড়,
চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে,
ঝাল না বেদনার জল,
বুঝতে পারছেনা।
বিবেক সুমনার বিয়ে আজ।
আজ আর তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে না,
তপ্ত দুপুরকে আজ গলায় লাগাবে।
ঋণ অনেক,
জরায়ূর ঋণ, ঘামের ঋণ, অপমানের ঋণ, অবহেলার ঋণ….
সারামাঠ আজ দাপাবে,
এ মাসেই কলকাতা পুলিশের মাঠ।
ভালোভাবেই শেষ করলো মাঠ,
ইন্টারভিউ কদিন পরেই।
সাদা কালো পৃথিবীটা কিন্তু বেশ,
মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়া।
মায়ের ডাক,
স্পিড পোষ্টে এসেছে কিছু,
হ্যাঁ, জয়েনিং লেটার।
দুচোখে জল।
পান্তা দাও দুটো মা,
আজকেই বেরোবো।
আট বছর পর আবার দেখা সুমনার সাথে,
বিভ্রান্ত,বিবর্ণা,
চয়নকে ঠকানোর দাম দিচ্ছে।
বিবেকের চাকরি গেছে আদালতের রায়ে।
সুমনার কথা শুনে চলে গেল।
শুধু সুমনা কেন?
আজ আর কোন নারীকেই বিশ্বাস করতে মন চায় না।
ভালোবাসা আজও আছে সেই পান্তায়।