পাগল ভবঘুরে
ডাটিয়া জেলায় শেষ পোস্টিং ছিল সাব-ইনস্পেক্টর মনীষের।শুটিংয়ের সময় আচমকা বন্দুকের ধাক্কা খেলেন কপালে। তারপরই মানসিক ভারসাম্য হারায়। তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুদিন চিকিৎসার পর হঠাৎ একদিন তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
শুটার কয়েক বছর ধরে ভিক্ষুকের মতো ঘুরছেন পথে পথে। ঠিকানা তার ফুটপাত।অভুক্ত থাকে সারাদিন, কেউ করুণা করলে খাবার জোটে। মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাস্তায় বেরিয়েছিল বিজয় মিছিল। সেই মিছিল ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে তা দেখার দায়িত্বে ছিলেন ডিএসপি রত্নেশ তোমর ও বিজয় ভাদোরিয়া। ফুটপাতে হঠাৎ তাদের নজর যায় এক ভিক্ষুকের দিকে। কী মনে করে পরনের ভালো জ্যাকেটটি পুলিশ অফিসার বিজয় তার হাতে তুলে দেন। রত্নেশ সিং তোমর দেন একজোড়া নতুন জুতা। মনীষকে দেখে তারা চিনতে পারেননি। কিন্তু মনীষ তাদেরকে চিনতে ভুল করেনি।
ফিরেই আসছিলেন তারা। পুরনো ব্যাচমেটদের দেখে ওই ভিক্ষুক ভাদোরিয়ার নাম ধরে ডাকায় বিস্মিত হন অফিসার। ভিক্ষুকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানলেন তিনি সেই শুটার মনীষ মিশ্র। চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি দুই পুলিশ অফিসারের। ভাদোরিয়া স্মৃতির পাতায় অবাক, মনীষ যে ব্যাচের সেরা ১০ শুটারদের একজন আবার ভালো এথলেটও,যে বিভিন্ন থানায় পুলিশ ইনচার্জ হিসেবে কাজ করেছে, সে আজ পাগল হয়ে ফুটপাতে! তারা মনীষকে সুস্থ করে তুলতে নিয়ে যেতে চাইলেন মানসিক হাসপাতালে। কিন্তু মনীষের তীব্র আপত্তিতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এক আশ্রমে। সেখানেই তার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।কিন্তু সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জানা গেছে, তার পরিবারও মনীষকে ঘরে ধরে রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। একাধিক আশ্রম ও ভবঘুরে কেন্দ্রে তাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তিনি পালিয়ে গেছেন।