পনিমাখনান
শীতের এক মিষ্টি সকালে, টেবিলের ওপর ছিল কাটা পনিরের টুকরো। তার গায়ে লেগে ছিল মাখনের আস্তরণ আর মসলার ছোঁয়া। নতুন রূপে নিজেকে দেখে পনির আনন্দে উদ্বেলিত। সে ভাবল, “আজ আমি যেন রাজকুমার!”
মাখন পনিরের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, “আমার ছোঁয়ায় তোমার এই সৌন্দর্য। আমি না থাকলে তোমাকে কেউ চিনতই না।” পনির একটু লজ্জা পেয়ে বলল, “তুমি ঠিক বলেছ। তোমার ছোঁয়া আমাকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তবে আমাদের গল্প তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন নান আমাদের সঙ্গে থাকবে।”
ঠিক তখনই নান এসে হাজির। গরম আর নরম নান নিজের উপস্থিতি জানিয়ে বলল, “পনির, তুমি আজ সত্যিই অসাধারণ লাগছো। কিন্তু আমাকে ছাড়া তোমার এই রূপের পূর্ণতা হয় না। আমরা একসঙ্গে এমন কিছু তৈরি করি, যা মানুষের হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।”
পনির, মাখন, আর নান একত্রে নতুন রূপের কথা ভাবছিল, তখনই দুটি মানুষ এসে হাজির হল। একজন যুবক আর একজন যুবতী। ছেলেটির হাতে কাঁটা আর মেয়েটির হাতে চামচ। তাদের চোখে মুগ্ধতা।
ছেলেটি বলল, “পনির-মাখন-নানের এই কম্বিনেশন আমার কাছে ভালবাসার প্রতীক। আজকের খাবার আমাদের বিশেষ করে তুলবে।” মেয়েটি মিষ্টি হেসে বলল, “তুমি ঠিক বলেছ। এই খাবার শুধু পেট ভরাচ্ছে না, আমাদের ভালবাসাকেও নতুন রূপ দিচ্ছে।”
ছেলেটি পনিরের এক টুকরো নানের সঙ্গে মেখে মেয়েটির মুখে তুলে দিল। মেয়েটি বলল, “তোমার সঙ্গে এই মুহূর্তটা আমার জন্য ভীষণ বিশেষ। আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে।”
পনির, মাখন, আর নান গর্বিত চোখে তাদের দেখছিল। তারা বুঝতে পারল, তাদের উপস্থিতি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াচ্ছে না, মানুষের ভালবাসার গল্পেও নতুন অধ্যায় যোগ করছে।
যুবকটি এবার নানের একটি অংশ ছিঁড়ে পনির ও মাখনে ডুবিয়ে নিজেও খেতে শুরু করল। তার চোখে তৃপ্তি ফুটে উঠল। মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে বলল, “আমাদের এই মুহূর্তগুলোই জীবনের আসল আনন্দ।” ছেলেটি সম্মতি জানিয়ে বলল, “পনির-মাখন-নানের মতো আমাদের সম্পর্কও একে অপরের উপর নির্ভরশীল। একসঙ্গে থাকলেই সবকিছু সুন্দর হয়।”
তাদের কথোপকথন আর হাসি দেখে পনির, মাখন, আর নান আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল। তাদের মনে হলো, তারা শুধু খাবার নয়, ভালবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সেদিনের সকালের খাবার হয়ে উঠল একটি মধুর স্মৃতি। পনির, মাখন, আর নানের গল্প মানুষের মনে ভালবাসার গভীর এক রূপ খুঁজে পেয়েছিল। এই ক্ষণ যেন এক রোমান্টিক অধ্যায় হয়ে চিরস্থায়ী হয়ে গেল।