আমি যখন রাস্তা ধরে হাঁটি তখন হাঁটার সময়
রাস্তার ডাইনে বাঁয়ে দুদিকে,আর থেকে থেকে
আমার নিজের পিছন ফিরে দেখা,
মুশকিল কি আমি প্রতি মুহূর্তে যা দেখি
তা আগের মুহূর্তে কখনই দেখিনি।
আমি প্রতিটি জিনিস দেখি পারদর্শীর চোখে!
আমি ঠিক ততটাই অবাক হই- ঠিক
যতটা অবাক হয় একটি সদ্যজাত শিশু।
প্রতি মুহূর্তে এই যে নতুনের সাথে পরিচয়
– মনে হয় আমি সত্যি এক্ষুনি জন্মেছি
আনকোরা এক নতুন পৃথিবীতে…
আরো আছে- যেটা আমি দেখছি –
তাকে নিয়ে একদমই ভাবি না,
কারণ ভাবা মানেই তো একরকম না বোঝা।
আমরা যারা সাধারণ- তাদের ভাবনা চিন্তার
জন্য তো পৃথিবী বসে নেই!
ভাবা মানে সেই কলুষিত অসুস্থ
চোখ দিয়ে দেখা।
চোখ দিয়ে শুধু দেখা আর সেই দ্রষ্টব্যঃ
বস্তু বা জীবনের সঙ্গে এক মত হওয়া যায় ।
আমার না নজস্ব কোন দর্শন নেই,
শুধু অনুভূতি আছে …
ধরো এই যে প্রকৃতি তার এতো এতো সুন্দরতা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে আমাদের চারপাশে
সেগুলো কি ভাবে হলো? কেন এই সৃষ্টি?
আমি কিছুই জানিনা, শুধু ভালোবেসে যাওয়া তাকে।
“ভালোবাসা” এই এক শব্দ এক উচ্চারণ
বড্ড কঠিন ধাঁধা লুকিয়ে আছে
এই শব্দের মধ্যে…
যারা ভালবাসে তারা জানে না,
তারা কি ভালবাসে, কেন ভালবাসে,
অথবা ভালবাসার সঠিক অর্থ কি?
আমি মনে করি ভালোবাসা হল সরলতা,
আর যেটা সরল বা সহজ স্বচ্ছ জলের মতো
তাই সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা একদমই নয় …