Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন রুশ সাহিত্যিক || Sankar Brahma

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন রুশ সাহিত্যিক || Sankar Brahma

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন রুশ সাহিত্যিক

ভূমিকা
———–
#রুশসাহিত্যেরসংক্ষিপ্ত_পরিচয়

রুশ সাহিত্য হল রাশিয়া ও এর অভিবাসীদের সাহিত্য এবং তৎকালীন রুশ সাম্রাজ্য বা সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ছিল এমন কয়েকটি স্বাধীন দেশের রুশ ভাষার সাহিত্য। রুশ সাহিত্যের গোড়াপত্তন হয় মধ্যযুগে, যখন প্রাচীন রুশ ভাষায় মহাকাব্য ও ইতিবৃত্ত রচিত হয়। আলোকিত যুগে সাহিত্যের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৯৩০ এর দশকের শুরুর দিকে রুশ সাহিত্য – কবিতা, গদ্য ও নাটকের স্বর্ণযুগ অতিক্রম করে। রোমান্টিকতার সময়কালে কাব্যিক প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে এবং এই সময়ে ভাসিলি ঝুকভ্‌স্কি ও পরে তার দ্বারা প্রভাবিত আলেক্সান্দ্‌র পুশকিন কাব্যচর্চা করেন। এই সময়ে গদ্যও বিকাশ লাভ করেন। প্রথম মহান রুশ ঔপন্যাসিক ছিলেন নিকোলাই গোগোল। পরবর্তীতে আসেন ইভান তুর্গেনেভ, যিনি ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় ধরনেই প্রসিদ্ধ ছিলেন। ল্যেভ তল্‌স্তোয় ও ফিওদোর দস্তয়েভ্‌স্কি অচিরেই আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আন্তন চেখভ ছোটগল্পে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন এবং অন্যতম প্রধান নাট্যকার হয়ে ওঠেন।

উনবিংশ শতাব্দীকে রুশ সাহিত্যের “স্বর্ণযুগ” বলে অভিহিত করা হয়। রোমান্টিকতা সময়ের উল্লেখযোগ্য কবি হলেন ভাসিলি ঝুকভ্‌স্কি ও পরে তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হন আলেক্সান্দ্‌র পুশকিন। পুশকিন রুশ সাহিত্যিক ভাষায় নতুনত্ব প্রদান করেন এবং রুশ সাহিত্যে নতুন মাত্রার শৈল্পিকতা নিয়ে আসেন। তার শ্রেষ্ঠকর্ম হল ইউজিন অনেজিন। মিখাইল লের্মোন্তভ, ইয়েভ্‌জানি বারাতিন্‌স্কি, কনস্তান্তিন বাতিউশ্‌কভ, নিকোলাই নেক্রাসভ, আলেক্সেই কনস্তান্তিনোভিচ তল্‌স্তোয়, ফিওদোর তুতচেভ, ও আফানাসি ফেতসহ নতুন প্রজন্মের সকল কবি পুশকিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন।

রোম্যান্টিক যুগে গদ্যও বিকশিত হতে থাকে। নিকোলাই গোগোল প্রথম সেরা রুশ ঔপন্যাসিক। নিকোলাই লেস্‌কভ, ইভান তুর্গেনেভ, মিখাইল সালতিকভ-শেদ্রিন সকলেই ছোটগল্প ও উপন্যাসে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। ল্যেভ তল্‌স্তোয় ও ফিওদোর দস্তয়েভ্‌স্কি এই সময়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। অনেক পণ্ডিত, যেমন এফ. আর. লিভিস, তাদের সর্বকালের সেরা ঔপন্যাসিক বলে উল্লেখ করেন। উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আন্তন চেখভ ছোটগল্পে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন এবং তার সময়ের আন্তর্জাতিকভাবে প্রধান নাট্যকার হয়ে ওঠেন। চেখভের দ্য ব্ল্যাক মঙ্ক, ওয়ার্ড নং ৬, দ্য বিশপ বা দ্য ডুয়েল অন্যতম সেরা রুশ ছোটগল্প।

বিংশ শতাব্দীর শুরুর সময়কে রুশ কবিতার রৌপ্যযুগ বলে অভিহিত করা হয়। এই সময়ের বিখ্যাত কবি হলেন আলেক্সান্দ্‌র ব্লক, সের্গেই ইয়েসেনিন, ভালেরি ব্রিউসভ, কনস্তান্তিন বালমন্ত, মিখাইল কুজমিন, ইগর সেভেরিয়ানিন, সাশা চোর্নি, নিকোলাই গুমিলেফ, মাক্সিমিলিয়ান ভলোশিন, ইনাঙ্কেঞ্চি আনিন্‌স্কি, জিনাইদা জিপিউস। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আনা আখমাতোভা, মারিনা স্‌ভেতেভা, ওসিপ মান্দেলস্তাম, ও বরিস পাস্তের্নাক। নিকোলাই গুমিলেফ আফ্রিকার কয়েকটি দেশ – মিশর, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও জিবুতি ভ্রমণ করেন এবং দ্য গালা, দ্য জিরাফ ও দ্য সাহারা কবিতায় আফ্রিকা তার অনুপ্রেরণা ছিল।
যদিও রৌপ্যযুগ কবিতায় সমৃদ্ধ ছিল, পাশাপাশি কয়েকজন প্রথম সারির ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকারও এই সময়ে আবির্ভূত হন। তারা হলেন আলেক্সান্দ্র কুপ্রিন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইভান বুনিন, লেওনিড আন্দ্রেয়েভ, ফেদর সলোগুব, আলেক্সি রেমিজভ, ইয়েভ্‌জেনি জামিয়াতিন, দিমিত্রি মেরেঝ্‌কভ্‌স্কি, এবং ও আন্দ্রে বেলি।
রৌপ্যযুগের কবিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কনস্তান্তিন বেলমন্ত, ভালেরি ব্রিউসভ, আলেক্সান্দ্‌র ব্লক‌, আনা আখমাতোভা, নিকোলাই গুমিলিউভ, অসিপ মান্দেলস্তাম, সের্গেই ইয়েসেনিন, ভ্লাদিমির মায়াকোভ্‌স্কি, মারিনা স্‌ভেতায়েভা, ও বরিস পাস্তের্নাক। এই যুগে কয়েকজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকারদের দেখা যায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন আলেক্সান্দ্র কুপ্রিন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইভান বুনিন, লেওনিড আন্দ্রেইভ, ফিওদোর সলোগুব, আলেক্সি রমিজভ, ইয়েভজেনি জামিয়াতিন, দিমিত্রি মেরেঝ্‌কোভ্‌স্কি, ও আন্দ্রে বেলি।

রুশ বিপ্লবে বিজয়ের পরে মায়াকভ্‌স্কি নব্য বাস্তবতা নিয়ে কাজ করেন। তার রচনা ওড টু দ্য রিভলূশন ও লেফট মার্চ (১৯১৮) কাব্যে নতুনত্ব নিয়ে আসেন। লেফট মার্চ মায়াকভ্‌স্কি রুশ বিপ্লবের বিরোধীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন। তার কবিতা বিপ্লবে – ১৫০,০০০,০০০ জনমানুষের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন (১৯২৪) কবিতায় মায়াকভ্‌স্কি রুশ বিপ্লবের এই নেতার জীবনী ও কর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন। ‘ইট্‌স গুড’ কবিতায় সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে “মানবতার বসন্তকাল” বলে উল্লেখ করেন। মায়াকভ্‌স্কি কবিতায় নব্য ধারার সূচনা করেন, যেখানে রাজনীতি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
১৯৩০ এর দশকে সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা রাশিয়ায় সাহিত্যের প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। মাক্সিম গোর্কি ছিলেন এই সময়ের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, যিনি তার ‘মাদার’ উপন্যাস এবং ‘দ্য এনেমিস’ নাটক দিয়ে এই ধারার ভিত্তি স্থাপন করেন। তার আত্মজীবনীমূলক ত্রয়ীতে সমাজের দরিদ্রতর স্তর থেকে তার রাজনৈতিক বিবেকের উন্নয়নের উত্থান বিবৃত হয়েছে। তার উপন্যাস ‘দ্য আর্তামানভ বিজনেস’ (১৯২৫) এবং নাটক ‘এগর বুলিশভ’ (১৯৩২) রুশ সামন্ত শ্রেণীর পতনকে চিত্রায়িত করে। গোর্কি সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতাকে “পৃথিবীর পুনঃগঠনরত জনগণের বাস্তবতা” বলে উল্লেখ করেন। গোর্কির সাহিত্যকর্ম রাশিয়ার সাহিত্যিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে এর প্রভাব ছড়িয়ে পরে।

নিকোলাই অস্ত্রভ্‌স্কির উপন্যাস ‘কাক’
(জাকালিয়াওস স্তাল) রুশ সাহিত্যের সবচেয়ে সফল কর্মের একটি। সারা বিশ্বে বিভিন্ন ভাষায় বইটির এক কোটির বেশি কপি মুদ্রিত হয়। চীনের বইটির বিভিন্ন সংস্করণের এক কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়। রাশিয়ায় বইটির সাড়ে তিন কোটি বেশি কপি মুদ্রিত হয়।
বইটিতে অস্ত্রভ্‌স্কির জীবনী ধারণ করা হয়েছে, যার শৈশব ছিল খুবই কষ্টদায়ক এবং ১৯১৯ সালের জুলাইয়ে তিনি কমসোমল সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক হন। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র পাভেল কর্চাগিন রুশ সাহিত্যের এই “তরুণ বীর” এর প্রতিচ্ছবি, যে রাজনীতিতে তার জীবন উৎসর্গ করে তার দুঃখগুলো অতিক্রম করে। উপন্যাসটি সারা বিশ্বের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা ছিল এবং রাশিয়ার স্বদেশপ্রেমী যুদ্ধে গতিশীল ভূমিকা পালন করে।

নোবেল বিজয়ী রুশ ভাষার সাহিত্যিকগণ হলেন-

১). ইভান বুনিন (১৯৩৩)
২). বরিস পাস্তের্নাক (১৯৫৮)
৩). মিখাইল শলোখভ (১৯৬৫)
৪). আলেক্সান্দ্র্‌ সলজেনিৎসিন (১৯৭০)
৫). জোসেফ ব্রডস্কি (১৯৮৭)
৬). সভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ (২০১৫)

এখানে তাদের তিনজনকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল –

১).

বরিস লেয়োনিদভিচ পাস্তের্নাক (রুশ: Бори́с Леони́дович Пастерна́к)
ছিলেন রুশ সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক এবং অনুবাদক।
তাঁর জন্ম ১০ ফেব্রুয়ারি (মতান্তরে ২৯ জানুয়ারি) ১৮৯০ সালে। এবং তাঁর মৃত্যু হয় ৩০শে মে, ১৯৬০ সালে।
রাশিয়ায় পাস্তের্নাকের কাব্য সমগ্র ‘মাই সিস্টার, লাইফ’- হচ্ছে রুশ ভাষায় সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ও অন্যতম জনপ্রিয় সৃজন। গ্যেটে, পেদ্রো কাল্দেরন দে লা বার্কা এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বহু মঞ্চ-নাটক তিনি অনুবাদ করেন আর সেসব মঞ্চ-নাটক এখনও রুশ জনগণের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।

তিনি বাস করতেন –
প্রেদেল্কিনো, মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়নে।
তিনি পেশায় ছিলেন – কবি, লেখক।
তাঁর জাতীয়তা ছিল -রুশ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি-
মাই সিস্টার, লাইফ, দ্য সেকেন্ড বার্থ (দ্বিতীয় জন্ম), ডক্টর জিভাগো প্রভৃতি।
তাঁর প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরস্কার –
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার – ১৯৫৮ সালে পান।রাশিয়ার বাইরে পাস্তের্নাক পরিচিত তার ডক্টর জিভাগো উপন্যাসের জন্য। ১৯০৫ সালের রুশ বিপ্লব ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গ্রন্থটি রচিত। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রচিন্তার আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় উপন্যাসটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে ইতালির মিলানে এটি প্রকাশিত হয়। তার পরের বছরই এ উপন্যাসের জন্য পাস্তের্নাক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত হন। কিন্তু ব্যাপারটি সোভিয়েত সরকার ভালভাবে নেয় নি। সোভিয়েত সরকারের চাপে এবং তার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নোবেল পুরস্কার বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। নোবেল কমিটির কাছে লেখা এক পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সোভিয়েত সরকারের প্রতিক্রিয়াই তার পুরস্কার বর্জনের প্রধান কারণ।
১৯৬০ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে তার মৃত্যু হয়।

————————————————————–

২)

মিখাইল আলেক্সান্দ্রোভিচ শলোখভ (রুশ: Михаи́л Алекса́ндрович Шо́лохов) নোবেলজয়ী সোভিয়েত ঔপন্যাসিক।
যুদ্ধের বিপক্ষে আর শান্তির সপক্ষে তিনি সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। ১৯৬৫ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সৌরজগতে গ্রহাণুপুঞ্জের একটি গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে তার সম্মানে, ২৪৪৮ শলোখভ।

মিখাইল শলোখভের জন্ম হয় ডন নদীর তীরে, ভেশেনস্কায়ায়, ১৯০৫ সালে। মাত্র বারো বছর বয়সে ১৯১৭ সালে তিনি প্রত্যক্ষ করেন রুশ বিপ্লবের ভয়াবহতা। ১৯১৯ সালে ভেশেনস্কায়া অঞ্চলে এক প্রতিবিপ্লবী অভ্যূথ্থানের প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছিলেন শলোখভ। সে অঞ্চলের কসাকরা তখন বলশেভিক আর কর্নিলভ নামে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
শলোখভের লেখালেখি শুরু হয় ১৯২৩ সালে, মাত্র আঠারো বছর বয়সে। একটি যুব সংবাদপত্রে তার লেখা ছাপা হয়। তার তিন বছর পর তার প্রথম বই ‘টেলস ফ্রম দ্য ডন’ প্রকাশিত হয়ে আলোড়ণ তোলে সমাজে।

তাঁর মৃত্যু হয় – ২১শে ফেব্রুয়ারি , ১৯৮৪ সালে, ৭৮ বয়স বযসে (ভেশেনস্কায়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন)।
পেশায় তিনি ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক।
তাঁর জাতীয়তা – সোভিয়েত।
তাঁর প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরস্কার
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার – ১৯৬৫ সালে।

————————————————————–

৩).

আলেক্সান্দ্র্‌ সলজেনিৎসিন (রুশ: Алекса́ндр Иса́евич Солжени́цын আলিক্সান্দ্র্‌ ইসাইভ়িচ্‌ সল্‌ঝ়িনিৎস্যিন্‌ আ-ধ্ব-ব: /ɐlʲɪˈksandr ɪˈsaɪvʲɪtɕ səlʐɨˈnʲitsɨn/)
একজন প্রথীতযশা রুশ সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক।
তাঁর জন্ম – ডিসেম্বর ১১, ১৯১৮- এবং মৃত্যু হয় – আগস্ট ৩, ২০০৮ সালে। তিনি ১৯৭০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।

১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলেকজান্দার সোলজেনিটসিন, ১৯৪৫ সালে তদানীন্তন জোসেফ স্টালিন সরকারের সমালোচনা করার জন্য তাঁকে সুদূর সাইবেরিয়াতে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে দীর্ঘ আট বছর তিনি গুলাগ প্রথার বর্বর নিষ্ঠুরতার মধ্যে অতিবাহিত করেন। এই নিয়ে তার প্রথম বই ‘ওয়ান ডে ইন্‌ দ্য লাইফ অফ ইভান দেনিসোভিচ’ (ইভান দেনিসোভিচের জীবনে একটি দিন) ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগ পর্যন্ত রাশিয়াতে প্রকাশিত এটিই তার একমাত্র বই।

তার সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা ‘দ্য গুলাগ আর্কিপেলাগো’ (গুলাগ দ্বীপপুঞ্জ) তিন খণ্ডে পরে প্রকাশিত হয়। বিশাল পরিসরে লেখা এই বইটি গুলাগ সিস্টেমের বর্বরতা এবং সোভিয়েত কমিউনিজমের প্রকৃত স্বরূপ সমগ্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন। গুলাগ আর্কিপেলাগো-কে বিংশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলির মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়।
১৯৭০ সালে তিনি নোবেল পুরুস্কার পেলেও, ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত সরকার তাকে দেশ থেকে বিতাড়ন করে এবং তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। বহু বছর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। অবশেষে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৪ সালে তিনি আবার নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে দ্য ফার্স্ট সার্কেল (১৯৬৮), ক্যান্সার ওয়ার্ড (১৯৬৮) এবং আগস্ট ১৯১৪ (১৯৭২)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *