বিজনে বসে বৈশাখের দ্বারে
কে আঁকছে নানা রবীন্দ্রনাথের ছবি ,
কে গাঁথছে একখানা মালা
নানা ফুলের সৌরভে ভরানো ।
কে গাইছে আগমনী একখানা ‘ রবীন্দ্র সংগীত । ‘
আবেগমোহর কিছু শব্দ
হ্ঠাৎ কাছে এসে সেজে যায় আপনি
খর বৈশাখের খরতা হারিয়ে
কবিতা হয়ে ঝরে পড়ে কিছু প্রেম ;
ডালি ভরা নৈবেদ্য সাজানো থরে থরে ,
চঞ্চল কিছু পাখীর আকাশ জোড়া আনাগোনা
‘ কে যেন আসছে ‘
দূর দিগন্তের হাসির ছোঁয়া পড়ে হৃদয়ে
তাই বাউল প্রভাতী সুরের রাগ দেয়।
নব প্রভাত সিক্ত হাতে তুলে ধরে
কিছু শাদা বেলীর সৌরভ–
বড় প্রিয় ছিল একদিন ; ভালোবাসত
ফুলের মত কিছু হৃদয়
ভালোবাসত শরতের আকাশ জোড়া
শাদা মেঘের ছবি ।
ভালোবাসার ঋণে ঋণী হয়ে
মোরা আজ দাঁড়িয়ে এই বৈশাখের দ্বারে
নৈবেদ্য হাতে ,
কিন্তু ভিন্ন তার রূপ ।
শরতের শাদা মেঘ বৈশাখে এসে
কালো হয়ে গেছে ,
বৃষ্টি নামেনি এখনও
মেঘের ছোটাছুটি আকাশজুড়ে ।
জন্মমৃত্যুর পারে সহস্র রবীন্দ্রনাথের
সহস্র ছবি কাছে আসে ,
কোথাও উবরো থুবরো রঙের ঝলসানি
কোথাও অস্তিত্ব লোপ পেয়ে গেছে ,
কোথাও বিকল্প প্রতিমূর্ত্তি দাঁড়িয়ে
পুরনো স্মৃতির অন্তর্ধানে ;
সমর্পিত হয় কিছু কাগজের ফুল ,
বাজেনা কোন সুর, পপ গানের কিছু আবেগ
পুতুল খেলার ছলে থেকে যায় ।
থেকে যায় কিছু শব্দ… স্মৃতি পূজায়
একখানা ধূপকাঠি , দম ফুরিয়ে যাওয়া
কয়েকটা মোম শুধু টিমটিম করে
রাত্রি পোহানোর চেষ্টায়
বসে থাকে ।
বসে থাকে সহস্র সাধ
বৈশাখের দ্বারে নানা রবীন্দ্রনাথের ছবি হাতে
কিছু সদ্যস্নাতা শাদা বেলীর থালা হাতে
দাঁড়িয়ে অসংখ্য ঝরা পাতার
নীরব বৈশাখী হৃদয় ।
চেয়ে আছে অবিরাম
কিছু পাওয়ার লিপ্সা ,
বৃষ্টিভেজা সূদূরের মাঠ থেকে
একখানা সঙ্গীতের প্রতীক্ষা–
রবীন্দ্র স্মৃতি তর্পণে…
লজ্জা ভ্রমরের ইঙ্গিতে সমর্পিত হয়
কিছু ফুল, একখানা মালা
সারা হয় স্মৃতি অর্ঘ্য
ভালোবাসার নৈবেদ্যে ।
Osadharan