কোন শব্দ নয়। না, বলো নাকো কিছু,একটু চুপ থাকো। তোমার কর্ণকুহরে গুঞ্জরিত হোক, গভীর রাতের তোলপাড় করা একবুক যুবক সমুদ্রের গর্জন! অতল গভীরে প্রবেশ ধীরে ধীরে! হুইসেল বাঁজিয়ে যাওয়া ট্রেনের বিরহের সুর,শীতল নিস্তব্ধ রাতের নৈঃশব্দের ভাষা! তুমি শুনেছো কী?
আমার চোখের কনীনিকায় স্বপ্ন জ্বলে! চোখে চোখ রাখ,দেখো আলিঙ্গনে আবদ্ধ নিথর এক খাজুরাহো!
বেশি কাছে এসো না, দূরেই থাকো। যেমন ভর দুপুরে থমকে থাকে দুপুরবেলা। বারান্দায় অলস বিকেল এসে ঢলে পড়ে। নেমে আসে মায়াবী হলুদ ডোবানো গোলাপি সন্ধ্যা বেলা।
ঠিক তেমনি করেই আমার গভীরে তুমি নেমে এসো ধীরে ধীরে।
যেমন করে অলির কথায় রাত্রির ফুলেল হাসি, আর গন্ধেভরা তনু মাদকতা।
শুনি ঝরাপাতার আহ্ট আর শীতল হাওয়ার ক্যালেন্ডারের পাতায় বছর উড়ু উড়ু। শুনি বুকের মধ্যিখানে দুরুদুরু! সেখানে এক আজনবীর আগমন! রক্তকণায় তুলেছে তোলপাড়!
শুধু সেই টুকুই আমার সুখ, আর সেই টুকুই আমার অসুখ!
চোখের কোনে যত্নে তুলে রাখা আবেগী অশ্রু বিন্দু! তবুও বুঝি না, আবেশ জড়ানো ঝরা পাতায় কেন যে তোমায় আমি ভালোবাসি!!