আমি চম্পা।
এই সমাজের ঐতিহ্যময় বাসরঘরের রণ-ক্লান্ত কনে।
রোজ সন্ধ্যায় কয়েকশত টাকার বিনিময়ে
আমি পাই নিত্যনতুন বর।
আমার শুভদৃষ্টি হয় পৈশাচিক হাসিতে –
তারপর ভেসে যাই রক্তবাসরে।
ঘর্মাক্ত শরীর নিংড়ে শেষ রক্তবিন্দু ঝরিয়ে
চলে নিত্যবদল হওয়া বরদের খুশি করার প্রয়াস।
গভীর রাতের শেষে
আমার উন্মুক্ত অসাড় শরীরে
কলঙ্কের চাদর চাপা দিয়ে ফেরার হয় আমার স্বামী।
ঘুলঘুলি দিয়ে ঢোকা ভোরের ভেজা হাওয়ায়
প্রাণ ফিরে আসে আমার অসাড় দেহে।
চাপা আর্তনাদ মাখা কান্নায়
কলঙ্কের চাদর সিক্ত করে ফের জেগে উঠি
সদ্যবিধবা হওয়া সেই আমি!
আমি চম্পা।
শ্রী হীন-গন্ধহীন-আবেগহীন-ঐতিহ্যময়ী নিশীথ কনে।।