নিজেকে খুঁড়ছি সেই কবে থেকে, খুঁড়ে যেতে হবে, যতদিন
মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি। কখনও কখনও
অবসাদ টেনে নিয়ে যায়
নিদ্রার নিস্তব্ধ কুঠুরিতে, অথচ অতল ঘুমে
ডুবেও নিজেকে খুঁড়ি অবিরাম-প্রকাশিত হয় ক্ষণে ক্ষণে
কত কিছু অবলীলাক্রমে।
এই যে দাঁড়িয়ে আছি ঝাউবনে, এখানে তো কখনও আসিনি,
এমন সবুউজ আমি কখনও দেখিনি;
এই জমি, এই দৃশ্যাবলী, এরকম পাখি
এর আগে কোথাও দেখিনি। অকস্মাৎ
সফেদ কাফন-পরা ক’জন তরুণী
বেহালা বাজিয়ে চলে আসে পুকুরের ঘাট থেকে-
তাদের বেদনা নীল মুখ
অচেনা, অদ্ভুত। বেহালার সুরে নেই পার্থিব মূর্ছনা আর
কী খেয়ালে ওরা বাদ্যযন্ত্র ছুঁড়ে ফেলে অকস্মাৎ
হেসে ওঠে, সেই হাসি অথই কান্নার নামান্তর।
নিজেকে খুঁড়ছি শুধু, খুঁড়ে যাব এভাবেই, যদ্দিন বুকের
স্পন্দন থেমে না যায় ততদিন খুঁড়তে থাকব,
নিজের কাছেই এই প্রতিশ্রুতি আমার, যতই
যন্ত্রণার দাঁত, নখ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাক।