মনের মানুষের খোঁজে কাটিয়ে দেওয়াতে অভ্যস্ত
অনেকেরই অপেক্ষারত এই জীবন!
তবু আদৌ কি এই চেনা গণ্ডি পথের যাপন পটে মনের মানুষের দেখা মেলে?
কখনো হঠাৎ করেই অচেনা পথের ঘুর্নিবাকে এসে হাজির রূপকথার বাস্তব নায়ক,ছুঁয়ে দিয়ে কাটিয়ে দেয় ঘনঘোর ভ্রম।
আবার সারাজীবন অপেক্ষায় কাটিয়ে দিয়েও খোঁজ না মেলা মৌন স্থবিরতা।
আকাঙ্ক্ষা শেষে উপযুক্ত মনের মানুষের উপস্থিতি জীবনকে রূপ,রস,গন্ধ,বর্ণে সুসজ্জিত সবুজ করে।
তবু যারা না পায়”মনের মতন একজনের খোঁজ পেলাম না”এ আক্ষেপবাণী ধূসর করে দিনলিপি।
মানুষ নিজেই তো বোঝেনা তার মন ঠিক কি চায়! যা সহজে পাওয়া যায় পারে না তা আগলে যত্নে আরও সুন্দরতম করে বজায়ও রাখতে!
অথচ যা অধরা তাকে পেতে দুর্গম পথ, প্রতিবন্ধকতা পার করার অদম্য সাহসে হার না মানা মনোভাবে নিজেকে উজ্জীবিত করে,
আবেগের মেঘ রোদ্দুর লুকোচুরি খেলায় গুমরে কেঁদে ওঠে ঝরায় কষ্টের বিন্দু বিন্দু অশ্রু কণা।
আদৌ কি পায় সবাই,মনের মানুষের খোঁজ!
কে দেখবে মন সাগরে ডুব দিয়ে এর উত্তর?
প্রতিদিন ডুব দিই রাঙামাটির দেশে বাউল গান আঁকড়ে পথচলা প্রান্তিক ভবঘুরেদের গানের সুরে!
এক অদ্ভুত মাদকতা ভরা কণ্ঠে বাউল দেহতত্ত্বের গানে কিসের যেন এক অতৃপ্তি!
আত্মহারা হয়েও অভাবী মগ্নতায় এই মানুষ গুলো আখেরে খুঁজে পেতে চায় তাদের মনের মানুষ।
অনেক সময় খোঁজ পেয়েও ধরে রাখতে না পারার আফসোস কষ্ট দেয় জানি,
তবু সে হৃদয় অলিন্দে না পাওয়ায় বাড়ে গ্লানি।
যাকে না পাওয়া যায়,তার জন্য উদগ্রীব,উতলমন!
কবির ভাষায়,” না চাহিলে যারে পাওয়া যায় ,তেয়াগিলে আসে হাতে.”..আবার পরক্ষণেই গেয়ে ওঠেন,
“…আমি পেয়েছি আঁধার রাতে”!
কবির ভাবনায় কতো গভীরতা! ভাবলে অবাক লাগে এ যেন এক মহাসমুদ্রে প্রিয় কিছুর খোঁজ।
না চাহিলে যারে পাওয়া যায়, সে যেন অজান্তে অলক্ষ্যে নিজে থেকে এসেই হাজির,ধরা দিয়েছে।অদ্ভুত এক প্রশান্তি লুকিয়ে এই গভীর ভাবনায়।
এ যেন “অন্ধকার উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেই তো তোমার আলো”,
মনের মানুষ কে পাওয়ার দ্যুতি,আলোকিত এক উজ্জ্বল বিন্দুর আবির্ভাব।