Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » নায়কের জন্ম || Mayukh Chowdhury

নায়কের জন্ম || Mayukh Chowdhury

নায়কের জন্ম

আজ থেকে বহু বৎসর আগেকার কথা…

ছত্রপতি শিবাজির নেতৃত্বে দাক্ষিণাত্যের বুকে জন্ম নিল দুরন্ত মারাঠা-শক্তি–দিল্লির বাদশাহি ফৌজের প্রচণ্ড আক্রমণকে বারংবার ব্যর্থ করে মহারাষ্ট্রের আকাশে উড়তে লাগল মারাঠার বিজয়-বৈজয়ন্তী গৈরিক পতাকা!

শিবাজির মৃত্যুর পরে মহারাষ্ট্রের কর্ণধার হলেন তার পুত্র শম্ভাজি। সেই সময় বাদশাহ ঔরঙ্গজেবের হাবসি নৌবলাধ্যক্ষ সিঙ্গি ইয়াকুব খাঁ তার দুর্জয় নৌবহর নিয়ে কঙ্কন উপকূলে হানা দিল। উপকূলে অবস্থিত দুর্গগুলিকে দুর্ভেদ্য করে গড়েছিলেন শিবাজি মহারাজ, তবু খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিঙ্গি অনেকগুলি দুর্গ অধিকার করে ফেলল। সিঙ্গি দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, কিন্তু সে কৌশলীও বটে–প্রচুর উৎকোচ অর্থাৎ ঘুস দিয়ে সে দুর্গস্বামীদের বধ করে ফেলতে লাগল। ঘুসের মহিমায় বিনা যুদ্ধেই অনেকগুলি দুর্গ অধিকার করলে সিঙ্গি–অবশেষে অবরুদ্ধ হল সুবর্ণদুর্গ।

সুবৰ্ণ মোহরের লোভে সুবর্ণদুর্গের অধিপতি অচলাজি মোহিতে সিঙ্গির হাতে দুর্গ সমর্পণ করার উদ্যোগ করতে লাগলেন। দুর্গরক্ষী সৈন্যরা এ-কথা জানতে পারল কিন্তু তারা প্রতিবাদ করতে চাইল না। তারা বুঝেছিল যে উৎকোচের কিছু অংশ সৈন্যদের মধ্যেও ভাগ-বাঁটোয়ারা হবে তাই যুদ্ধের কথা ভুলে মোটা বকশিশের লোভে তারা উদগ্রীব হয়ে উঠল। উদ্যত তরবারির সম্মুখে যারা বুক ফুলিয়ে দাঁড়াতে ভয় পায়নি সুবর্ণমুদ্রার প্রলোভন তারা জয় করতে পারল না। গভীর রাতে দুর্গের সৈন্যরা আসন্ন উৎকোচের স্বর্ণ নিয়ে কে কীভাবে তার সদ্ব্যবহার করবে তারই আলোচনায় মত্ত হয়ে উঠেছে ঠিক সেই সময়ে দুর্গের নীচে খাঁড়ির জলে নিঃশব্দে নেমে পড়ল এক নির্ভীক কিশোর…

খাঁড়ির জলে পাহারা দিচ্ছে সিদ্দির জাহাজ।

জাহাজের সৈন্যসামন্তরা কেউ জানল না যে অন্ধকারে গা-ঢাকা দিয়ে একটি মনুষ্যমূর্তি অর্ণবপোতের প্রহরা ভেদ করে নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে দূরবর্তী

অরণ্য-আবৃত তীরভূমির দিকে…।

সিদ্দির সৈন্যদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেলেও জলবাসী রাক্ষসের ক্ষুধার্ত চক্ষুকে ফাঁকি দিতে পারল না কিশোর ছেলেটি মাত্র কয়েক হাত দূরে জলের উপর মাথা তুলে আচম্বিতে আত্মপ্রকাশ করলে এক বৃহৎ কুম্ভীর!

মস্ত বড়ো হাঁ করে কুমির তেড়ে এল কিন্তু শিকার ধরা পড়ল না–হতভাগা মানুষটা হঠাৎ জলের তলায় ডুব দিয়েছে।

এত সহজে কুমিরের মুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। দূরে জলের উপর মানুষটা মাথা তুলতেই সরীসৃপ আবার আক্রমণ করলে এবার আর জলের উপর দিয়ে নয়, ডুব সাঁতার দিয়ে এগিয়ে গেল ক্ষুধার্ত কুম্ভীর…।

ছেলেটি অসাধারণ ধূর্ত, একবার শ্বাস গ্রহণ করেই সে আবার জলের তলায় আত্মগোপন করলে নির্দিষ্ট স্থানে ভেসে উঠে কুমির দেখল শিকার আবার তাকে ফাঁকি দিয়ে সরে পড়েছে।

… জল থেকে উঠে দাঁড়াল কিশোর ছেলেটি। কয়েক পা এগিয়ে এসে একটু থমকে দাঁড়াল, নিজের মনেই বললে, ডুব সাঁতার দিয়ে কুমিরটাকে ফাঁকি দিয়েছি কিন্তু সামনে আবার কী বিপদ আছে কে জানে! অনেকটা পথ যেতে হবে।

উপকূলে অবস্থিত, অন্ধকার অরণ্যের মধ্যে প্রবেশ করলে সেই রহস্যময় কিশোর–ঘন জঙ্গল আর পাহাড়ের উপর দিয়ে তার যাত্রা শুরু হল…

গভীর রাত্রি। অরণ্যের বুকে রাজত্ব করছে এখন ঘন অন্ধকার। শুধু একটুখানি জায়গায় আঁধারের যবনিকা ভেদ করে জ্বলে উঠেছে রক্তরাঙা আলোকধারা।

সেই আলোতে দেখা যায় একটি ক্ষুদ্র পর্ণকুটির এবং সেই কুটিরের দ্বারদেশে অগ্নিকুণ্ডের সম্মুখে পদ্মাসনে বসে ধ্যান করছেন এক গেরুয়াধারী সন্ন্যাসী..

অকস্মাৎ নিস্তব্ধ অরণ্যের বুকে প্রতিধ্বনি তুলে জাগল এক ভয়াবহ হুংকারধ্বনি–আহ-অ-ন-ন-ন!

সঙ্গেসঙ্গে মনুষ্যকণ্ঠের, চিৎকার–খবরদার!

সাবধান! বালাজি!

সন্ন্যাসী ভ্রূ-কুঞ্চিত করলেন, মানুষের চিৎকার! বাঘের গর্জন! কিন্তু রাতের অন্ধকারে এই শ্বাপদসংকুল অরণ্যে পদার্পণ করেছে কোন মুখ?… ব্যাপারটা। দেখে আসি।

ধুনি থেকে একটি জ্বলন্ত কাষ্ঠ তুলে নিয়ে সন্ন্যাসী শব্দ লক্ষ করে অগ্রসর হলেন…

কিছুদূর এগিয়ে যেতেই তাঁর চোখের সামনে ভেসে উঠল একটি রোমাঞ্চকর দৃশ্য–

দুটি কিশোরকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছে এক বিপুল বপু ব্যাঘ্র কিন্তু একজোড়া উন্মুক্ত তরবারির শানিত আস্ফালন অবজ্ঞা করে সে এগিয়ে আসতে সাহস করছে না, কেবল নিষ্ফল ক্রোধে বারংবার গর্জন করে প্রতিধ্বনি তুলছে নিস্তব্ধ বনানীর বুকে!

সন্ন্যাসী নির্ভয়ে এগিয়ে গেলেন, বাঘের সামনে দাঁড়িয়ে গম্ভীর স্বরে বললেন, এরা তোমার শিকার নয়। যাও–এখান থেকে চলে যাও।

সঙ্গেসঙ্গে পশ্চাত্বর্তী অরণ্যের দিকে তিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করলেন।

দুটি কিশোর আশ্চর্য হয়ে দেখল যে বন্য ব্যাঘ্র নতমস্তকে সন্ন্যাসীর আদেশ পালন করলে। হিংস্র শ্বাপদ নিঃশব্দে অদৃশ্য হয়ে গেল অরণ্যের অন্তঃপুরে!…

সন্ন্যাসী এবার কিশোর দুটির দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, তোমরা কারা? এই ভীষণ অরণ্যে

আরে! তিনি হঠাৎ বিস্মিত কণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন, বালাজি বিশ্বনাথ! তুমি এখানে?

একটি কিশোর সামনে এগিয়ে এল, করজোড়ে বললে,প্রভু! বিশেষ প্রয়োজনে আমার বন্ধুকে নিয়ে এমন অসময়ে আপনার কাছে এসেছি। বনের মধ্যে হঠাৎ আমাদের বাঘ আক্রমণ করেছিল।

বেশ করেছিল। তোমরা মুখের মতো এত রাতে কেন এখানে এসেছ? সকাল বেলা দিনের আলোতে কি আসা যায় না?

না প্রভু, দ্বিতীয় কিশোর এবার উত্তর দিল, দিনের আলোতে আসার উপায় ছিল না। সব কথা আপনাকে বললেই বুঝতে পারবেন।

এই কিশোরটি আমাদের পরিচিত। একটু আগেই সে খাঁড়ির জলে নেমেছিল।

সন্ন্যাসী বললেন, বেশ চলো। আমার কুঠিতে চলো। তবে আগে তোমার পরিচয় জানতে চাই। বালাজি বিশ্বনাথকে আমি জানি। এই মহারণ্যের কাছেই চিপলুন গ্রামের লবণগোলায় বালাজি কেরানির কাজ করে এবং ওই গোলা তার বাসস্থানও বটে কিন্তু তুমি কে? তোমার নাম কী?

প্রভু! আমি সুবর্ণদুর্গের একজন দুর্গরক্ষী আমার নাম কাহ্নোজি শংখপাল। বালাজি বিশ্বনাথ আমার বাল্যবন্ধু। আ,ই খাঁড়ির জল সাঁতরে জঙ্গল ভেঙে বালাজির গোলায় গিয়েছিলাম– আমার কথা শুনে সে আমাকে আপনার কাছে নিয়ে আসছিল। হঠাৎ বাঘটা ।

বুঝেছি। আমার সঙ্গে এসো।

হুঁ। দুর্গস্বামী অচলা মোহিতে স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে সিদ্দির হাতে দুর্গ সমর্পণ করতে চায়!

বিশ্বাসঘাতক! সন্ন্যাসী জ্বলন্ত দৃষ্টিতে কাহ্নোজির মুখের দিকে চাইলেন, তুমি যা চাইছ তাই পাবে। কিন্তু সোনার লোভে তুমিও যদি বিশ্বাসঘাতকতা কর অর্থাৎ এই স্বর্ণ যদি আত্মসাৎ কর তাহলে? ।

প্রভু, আমি–

চুপ করো। শোনো। যদি তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কর তাহলে আমি তোমায় অভিশাপ দেব। মনে রেখো আমার অভিশাপ অব্যর্থ।

জানি প্রভু। বালাজির মুখে শুনেছি চিপলুনের এক শ্রেষ্ঠী আপনার কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আপনাকে ফাঁকি দিয়েছিল। আপনার অভিশাপে সে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়েছে! তা ছাড়া আমি স্বচক্ষে দেখেছি যে বনের বাঘও আপনার আদেশ পালন করে।

তোমরা অপেক্ষা করো। আমি আসছি।

অন্ধকার বনপথে সন্ন্যাসী অদৃশ্য হয়ে গেলেন।

কাহ্নোজি প্রশ্ন করলে, বালাজি! সত্যিই কি উনি আমাকে স্বর্ণমুদ্রা দেবেন? সংসারত্যাগী যোগী কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন এত সোনার মোহর?

বালাজি হাসল, ব্রহ্মেন্দ্র স্বামী অজস্র অর্থের অধিকারী। উনি কৈশোর থেকেই সংসার ত্যাগী। প্রথম জীবনে জ্ঞান সাধনা করেছেন হিমালয়ে। কেউ জানে না কোথা থেকে তিনি এত অর্থ সম্পদ পেয়েছেন কোথায় থাকে এই ধনরত্ন তাও আজ পর্যন্ত কেউ জানত পারেনি! ব্রহ্মেন্দ্রস্বামীর কাছে অনেক ধনবান ব্যক্তিও বিপদে পড়লে ঋণ গ্রহণ করে। উনি ঋণ দেন কিন্তু চড়া সুদে। ওই ঋণ শোধ না-করলে, দেন অভিশাপ। সেই অভিশাপ অব্যর্থ।

কাহ্নোজি বললে, আশ্চর্য পুরুষ!… ওই যে উনি আসছেন।

গভীর অরণ্যের ভিতর থেকে নিঃশব্দে আত্মপ্রকাশ করলেন ব্রহ্মেন্দ্রস্বামী তার দুই হাতে ঝুলছে দুটি চামড়ার থলি।

ব্রহ্মেন্দ্রস্বামী সামনে এসে দাঁড়ালেন, কাহোজিকে উদ্দেশ করে বললেন, শোনো কাহোজি। আমি ঋণস্বরূপ অর্থ দিয়ে থাকি কিন্তু তোমাকে আমি এই থলি ভরতি মোহর দান করছি। দেশের জন্য সৎকার্যে এই অর্থ তুমি ব্যয় করবে। তবে যদি লোভের বশবর্তী হয়ে

প্রভু! আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। স্বর্ণমুদ্রার চাইতে জন্মভূমির স্বাধীনতার মূল্য আমার কাছে অনেক বেশি।

… খাঁড়ির পাড়ে এসে দাঁড়াল দুটি কিশোর—-বালাজি ও । কাহ্নোজি।

কাহ্নোজির দেহের সঙ্গে বাঁধা মোহরভরতি দুটি চামড়ার থলি।

বালাজি বললে, সাবধানে যাও কাহ্নোজি, জলে কুমিরের ভয় আছে।

কাহ্নোজি হাসল, আমার মাথার উপর আছে ব্রহ্মেন্দ্রস্বামীর আশীর্বাদ, কটিবন্ধে আছে শানিত তরবারি–কুমির আমায় গ্রাস করতে পারবে না।

পরক্ষণেই সে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ল…

দুর্গের মধ্যে কোমল শয্যায় শুয়ে দুর্গস্বামী অচলাজি মোহিতে স্বপ্ন দেখছেন–

সোনার মোহর! রাশি রাশি সোনার মোহর! দুই হাত বাড়িয়ে অচলাজি মোহরগুলি আঁকড়ে ধরলেন।

হঠাৎ মোহরের স্তূপ থেকে একটি সাপ বেরিয়ে এসে তার দুটি হাত জড়িয়ে ধরলে।

অচলাজি টানাটানি করে হাত ছাড়াতে পারলেন না–তার মুখের সামনে ফণা বিস্তার করে গর্জে উঠল বিষধর সর্প!

আর্তনাদ করে উঠলেন অচলাজি মোহিতে আর সঙ্গেসঙ্গে তার ঘুম ভেঙে গেল–

না, সাপ নয়–একজোড়া লৌহবলয়ের মারাত্মক আলিঙ্গনে বন্দি হয়েছে তার দুই হস্ত এবং সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে কাহ্নোজি শংখপাল!

রাগে ফেটে পড়লেন অচলাজি, এর মানে কী? কাহ্নোজি উত্তর দিল, আপনাকে আমি বুন্দি করলুম। মহারাজ শম্ভাজির কাছে পরে আপনার বিচার হবে।

অচলাজি চিৎকার করে উঠলেন, ওরে কে আছিস এই শয়তানকে বন্দি কর। একজনকে পাঁচ পাঁচ মোহর বকশিশ দেব–সদাশিব! রঘুনাথ! পিংলে!

কেউ এল না।

কাহ্নোজি বললে, চেঁচিয়ে লাভ নেই। আপনি কত মোহর দেবেন? আমি প্রত্যেক দুর্গরক্ষীকে দশ মোহর করে দিয়েছি।

আমায় ছেড়ে দাও। আমি তোমায় এক-শো মোহর দেব।

সহস্র মোহর দিলেও আপনাকে ছাড়ব না। কাহোজি শংখপালের কাছে সুবর্ণের চাইতে জননী ভূমির মূল্য অনেক বেশি…

যথাসময়ে ঔরঙ্গজেবের নৌবলাধ্যক্ষ সিদ্দি ইয়াকুব খাঁ জানতে পারল যে কাহোজির হাতে বন্দি হয়েছে অচলাজি মোহিতে এবং সমস্ত চক্রান্ত হয়ে গেছে ব্যর্থ!

ক্রুদ্ধ সিদ্দি প্রশ্ন করলে, কে এই কাহ্নোজি?

একজন বললে, ওর বাবার নাম তুকোজি শংখ পাল! ওদের বাড়ি ছিল আঙ্গার ওয়াদি গ্রামে।

সিদ্দি গর্জে উঠল, আঙ্গারিয়া? আঙ্গার? ওই আঙ্গারিয়াকে দেখে নেব আমি!..।

সিদ্দির কথার প্রতিধ্বনি তুলে কাহ্নোজিকে আংগ্রে বা আঙ্গারিয়া নামে ডাকতে লাগল শত্ৰুমিত্র সবাই। কাহোজি শংখপাল ইতিহাসে পরিচয় লাভ করল ভিন্ন নামে–কাহোজি আংগ্রে!

সিদ্দি প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পারেনি।

কাহ্নোজি আংগ্রের নেতৃত্বে দুর্জয় হয়ে উঠল মারাঠা নৌবহর। কেবল মুঘল শক্তি নয়, দুর্ধর্ষ ইংরেজও আঙ্গারিয়ার কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *