একটু অপেক্ষা কর,কালো মেঘ সরিয়ে
পড়ে নিই আগে ভাগ্যফল,চিরন্তন প্রথা ভেঙে দিয়ে
তারপর না হয় মিলিত হবো- আবেগে,আয়েশে
মন খারাপের সন্ধ্যাবেলায় একবার জ্যোৎস্নারেনু মাখি।
লক্ষহীন চেয়ে আছি নিদাঘতপ্ত তপস্যায় মধ্যগগনে
এতো যে মুঠো মুঠো কবিতা লেখো
সূর্যের দিকে চোখ মেলে,কামনার অঙ্গারের তাপে
বাঁকা পথে তোমার শ্যেন দৃষ্টি ছুটছে ভাগাড়ে।
বনভূমি আগুনমালায় সাজিয়ে- হিসাব কষে,কষে
তোমার লোভের লোলুপ জ্বিহা বলছে” ওম শান্তি ওম ” ।
তুমি বলো তোমার শারদোৎসব,সাষ্টাঙ্গে প্রনাম
কাশবনে দাঁড়িয়ে দুহাতে গঙ্গাজল,পূর্নার্ঘ ছড়াও চণ্ডীপাঠে
ঘরের অবহেলিত দুর্গার মাথায় হাত রেখেছো কখনো,
অনুভব করেছো কি কখনো তার বুকের জমে থাকা বেদনা
যোনির যন্ত্রনা ছুঁয়ে কি অনুভব করেছো প্রসব যাতনা
ভোগ্য না করে- মা,মেয়ে,ভার্য্যায় রাখো দেবীর বোধন বন্দনায়
তাতেই হবে মহাঅষ্টমীর ভোগ নিবেদনের সফলতা।
ভরাও অকুলতায় , রিপুর কামনার বন্ধন ছিঁড়ে
প্রেম হৃদয় নিঃসৃত হোক আবেগ-বিহ্বলতায়
প্রেমের সাথে শরীর সংপৃক্ত – না দানবিক ক্ষনিকের ক্ষুধা-
দ্বৈত সত্তায় হাজারও প্রশ্ন,মাটির দেবী অভিমানে ক্ষত-বিক্ষত।