বৃষ্টির ফোঁটারা ছাদের আলসে বেয়ে-নেমে আসে ধোঁয়া ওঠা মাটির বুকে,এক

কালবেলা যে শেষ হয় না ফেরার বেলা হলে-পাল্টেছে কী ঠিকানা,

চলতে চলতে পথে দেখা,পথেই অবিরাম কথা বলা।তুমিই সে, যার শান্ত

আইসোটোপের মতো সম্পর্কের কবিতা যখন ভাঙ্গে,উনোনের ধোঁয়ার মত জ্বালা ধরা

বসন্ত এলেই রক্তের স্বাদ বড় তীব্র হয়!চূড়ান্ত অপমৃত্যু ঘটে সম্ভাবনাময়

মৃত্যুর গন্ধমাখা অন্ধকার রাতে-জীবনের ভাঙচুর চলে,কালো পেঁচার কর্কশ ডাক যেন

শিব-কথনের আড়ালে ভবিষ্যৎ হে বাবা ভোলেনাথ, পেত্থমেই ক্ষমাভিক্ষা চেয়ে নিচ্ছি!

একটা সময়ের অবসানেঅন্ধকার গোলকধাঁধা-সীমাবদ্ধ দেয়ালে ঠক্ ঠক্ হাতুড়ির ঘা ;সবটুকু

রাত্রির হতাশা নামে!আচম্বিতে রাতের শরীর ভেজে বারুদের ঘামে!মিথ্যাচারী শিশুপালের কুণ্ডলীর

এলোমেলোবিন্যস্ত খরা কাটিয়ে-আকাশের বুকে জমে থাকা মেঘে বৃষ্টি নামে,সারা বছরের

রিমঝিম বৃষ্টির উদ্দাম নাচ,এক হাঁটু জলে পানসী ভাসে……তুলোট কাগজে লেখা

পেণ্ডুলামের কাঁটা টিক্ টিক্ শব্দেনির্ভুল সময় মেপে চলে..!ঘুম ভাঙে ফোনের

তুমি আর ভালো থাকবে না…হুতুমের মাঠ পেরিয়ে আমি চলে গেলে-যেমন

স্তব্ধতার জমাট মেঘের হিমেল ঢেউ,দাপিয়ে বেড়ায় পাকদণ্ডি জুড়ে-কোন ছুতোয় আছড়ে

ধোঁয়া উঠা ভোরে রাজপথে গলিপথেমুষ্ঠিবদ্ধ হাতের ক্রমপ্রসারিত মিছিলেজাগে সুরের গর্জনহেনরীর

জীবন মানে ফুল অন মস্তি..!ফুল অন স্বাধীন চিন্তা,নিজের মতো স্বাধীনভাবে

কারক বিভক্তিতে বদল,নিপাতনে সন্ধিতে সন্ধিক্ষণ..!যতি চিহ্নের ছিন্নপাতা–উড়তে উড়তে নেমে আসে

তুম আয়ে তো আয়া মুঝে ইয়াদ গলি মে আজ চাঁন্দ

সময় আমার চায়ের কাপে চুমো খায়!স্মৃতির ক্যাকটাস বসায় থাবা চোখের

খালপার বস্তীতে ছেঁড়া চট গায়ে জড়ানো,উসখখুসকো চুলের জটায় উকুন ছড়ানোআধা

মেঘে মেঘে সিপিয়া রঙের পোস্টার ;ক্যারাবিয়ান ছোঁয়ায় জমকালো স্ট্রিট পার্টির

এতো আলো..!সময়ের বুকে সরলরেখায়সান্ধ্যশাঁখে, প্রদীপ শিখার আলোয়;কার আগমনে উচ্চারিত হয়

যদি খাল কেটে আনলেলকলকে লাউ ডগার মত বেড়ে উঠে কুমীর,দানাপানি

একটা ভোর যখন লিখব ভেবেছিলাম-অকাল বৃষ্টিচোখের চারপাড়া ঘুরে হতভম্ব,জানান দিল,