রাত্রি আমাকে বিপথ দেখালো,
–সকালের সূর্যালোকে, তৃষ্ণায়, বুকের ক্ষুধায়
আমরা বাঙলার পলির রুটিকে টুকরো-টুকরো করে
হিংস্র পশুর মতো ছিঁড়ে জননীর রক্তে ভিজিয়ে খেলাম;
এবং সূর্য যখন সমকোণে দুরন্ত দুপুর
তখন রক্তের পিচ গলে গেলে অদৃশ্য গ্রহের শ্বাসে
সুবাতাস এসে ফিরে গেলো।
প্রসন্ন বিকেল এসে একদিনও বললো না,
দেখো, ক্ষীণতম কটিদেশ, পুরো-বক্ষ,
আর জঙ্ঘার নরোম বিস্তারে, শিশুতোষে
লুক্কায়িত তোমার শৈশব দেখে যাও।
অথচ আমি তো অনন্ত শৈশব চাই,
প্রসন্ন বিকেলের মাঠে ফিরে যেতে চাই,
আমি মানুষের শুভদ্রতাকে চাই।
আমি মাধবীকে চাঁদ দেবো বলে,
সম্পন্ন সুখের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে গিয়ে
অনন্ত নিখুঁত সূর্যের আশায়
যেখানে রেখেছি চোখ সেখানেই আলোর তিমির।
আমি দৃশ্যে-গন্ধে-রক্তে-স্পর্শে-গানে
সুন্দরের অবয়ব পেতে চাই,
মধ্যরাত্রির স্বপ্নের মতো মাধবীকে চাঁদ দেবো,
নীলিমাকে দেবো নীলাকাশ,
আমাকে ফিরিয়ে দাও জীবনের সামান্য অধিকার।