নীল আকাশে ছেঁড়া মেঘ দিয়েছে যে উঁকি,
শিশির মেখে দূর্বাঘাস উল্লাসে আজ সুখী।
আলোকসজ্জার আয়োজনে জোনাক বড়ো ক্লান্ত,
বছর পরে আসছে মেয়ে,বসুন্ধরা শান্ত।
বসন ভূষণ অলঙ্কারে আসছে হৈমবতী,
আদুর গায়ে বেড়ায় উমা,পিতার দুর্গতি।
আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে প্যান্ডেল থিম সাজে,
ছোট্ট গৌরী হাত লাগায় মুড়ি ভাজার কাজে।
মন উন্মন,ঢাকের কাঠি,অষ্টমীর ক্ষণ—
অসুরের কবলে দুর্গা আমার,তোলপাড় কাশবন।
ত্রেতাযুগে রামচন্দ্রের করা অকাল বোধন,
দশমীর আগেই আমার উমার অকাল বিসর্জন।
রক্তমাখা নিথর দেহ,পৈশাচিক উল্লাস—
অভাবের ঘরে দুর্ভাগ্য হাসে,বাবা জ্যান্ত লাশ।
চিন্ময়ীর পরিণতিতে যেন মৃন্ময়ী লজ্জা পায়!
ঘরে ঘরে আজ দুর্গাদের নিরাপত্তা কোথায়?