দীপ্তি চক্রবর্তী
লেখিকা পরিচিতি
—————————
নাম : দীপ্তি চক্রবর্তী
১৯৮৬ ডিসেম্বরে মাতুলালয় পূর্ব বর্ধমান জামালপুর, দীনবন্ধু চক্রবর্তী ও দীপালী দেবীর কন্যা দীপ্তির জন্ম। জনক জননী অত্যন্ত সাহিত্যানুরাগী। বাল্যকাল কেটেছে বীরভূমের বোলপুরে , কবিগুরুর আঁচল বেছানো পথে সাহিত্যের হাতেখড়ি। চাকুরির কারণে বাবার আগমন হুগলির তারকেশ্বরে, ওখানেই থিতু । ছোটোবেলা থেকেই ছড়া ও কবিতার প্রতি ঝোঁক ছিলো। স্কুল ম্যাগাজিনের হাত ধরে লেখালেখি শুরু।এরপর দীর্ঘদিন লেখায় ছেদ পড়লেও সংস্কৃত নিয়ে এম এ পড়ার সময় থেকে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশ হয় নিয়মিত। আলোর সাকিন, কবিতা পাক্ষিক, তথ্যকেন্দ্র, তমোহা, রূপশালি,অনন্যা, প্রভৃতি পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয় ।২০১৭ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ মুহূর্তবেলা।
শিক্ষকা দীপ্তির ভালোলাগা জায়গা হল কবিতার মাধ্যমে শব্দের মায়াজাল সৃষ্টি ।
লেখিকার সৃষ্টি
গোলাপ || Dipti Chakraborty
একটা গোলাপের কথা লিখতে গিয়েযখন তুমি ভালোবাসা জানাচ্ছিলেঠিক তখনই আমি
মুখোমুখি || Dipti Chakraborty
অতঃপর স্বর্গের বাতাস যখন ভারী হয়জ্যোৎস্নারা নিজেকে ঢেকে নেয় সুগন্ধী
রবি ঠাকুর তোমাকে || Dipti Chakraborty
তোমার উজ্জ্বল চোখের তারায়খুঁজে নিই দুঃসময়ের প্রলেপওই দুই চোখের উপরেভ্রু
নাব্যতা || Dipti Chakraborty
অভিধান থেকে মুছে যাচ্ছে বিষগড়িয়ে পড়ছে রক্তের ফোঁটাতিক্ততা হয়তোবা অসহিষ্ণুতার
সময়ের সাজ || Dipti Chakraborty
ওপারে বিবর্ণ পুতুল সারি সারিগাছে গাছে ঝুলে আছে মাথাউড়ো চুল
চাঁদ || Dipti Chakraborty
বলতে পারো চাঁদের গায়েকে মাখালো কালি?এমন করে চাঁদটাকে মাকে করলো
মুকুল || Dipti Chakraborty
“মুকুল” সে তো মুকুল হয়েইচিরকাল রইবে।ফুলের মেলায় ভরিয়ে দিয়েমৌমাছিদের গানে
ঘাস ফড়িং এর ঘুঙুর || Dipti Chakraborty
বলেছিলাম ফিরে আসবোযখন স্বপ্নে ভিজে আছে মেঘের বুকএকটার পর একটা
বন্ধু || Dipti Chakraborty
বন্ধু মানে মনের সাথীবন্ধু মানে ব্যথার ব্যথীবন্ধু মানে প্রাণের কথাবন্ধু
শাক সব্জীর পসরা || Dipti Chakraborty
পুষ্টিগুণে ভরপুরশাকসব্জী ভুলেছে মানুষলাউ কুমড়ো উচ্ছে ঢ্যাঁড়স পটল বেগুনবলে শেষ
কুৃঁজো || Dipti Chakraborty
শরীরটাকে আরও ছোটো করেআস্ত আমি ঢুকে পরিবিবেকরূপী এক কুঁজোর মধ্যেযেখানে
আকাশ যখন নদী || Dipti Chakraborty
তোমার চোখে মুখে লেগে আছে ব্যস্ততাজামায় কালির দাগ কবেইআজও ওঠেনিশতবার
আজ পয়লা মার্চ || Dipti Chakraborty
আজ পয়লা মার্চসে বছর এইদিনেই মেয়েটা এঁকেছিলোতার স্বপ্নের সেই আলো
প্রতীক্ষা যখন অনন্ত || Dipti Chakraborty
অনন্ত কাল ধরে জানি তুমি আসবেনাআমি তবুও প্রতীক্ষায় থেকে যাবোপ্রিয়জনের
শরৎ ভেলা || Dipti Chakraborty
শরৎ শরৎ শরৎ খুঁজিনীল আকাশের মাঝেকাশফুল আর পেঁজা তুলোঢাকের বাদ্যি
সকাল || Dipti Chakraborty
একটানা কয়েকটা দিনএকভাবে কেটে গেলে ক্লান্তি আসেআলমোড়া ভেঙে অলস সকালচিঠি
আগমনী || Dipti Chakraborty
স্নিগ্ধতার কাশফুল বেয়ে নামে শরৎপৃথিবী জুড়ে ঝরতে থাকে আগমনী গানস্নেহের
ফেলে আসা পথে || Dipti Chakraborty
এগিয়ে যেতে যেতে যে রাস্তাগুলো ক্ষীণ হয়ে যায়তার জন্য বৃষ্টি
যখন পাতা ওড়ে || Dipti Chakraborty
আকাশের বুকের গভীরে পাখিদের ঠিকানাআশ্বিনের রোদ্দুরে পুড়লেশরীরের অংশ গলন্ত সোনার
যেখানে গল্পকথা || Dipti Chakraborty
শব্দ ও হৃদয়ের মধ্যে দূরত্ব সামান্যইওড়নায় ঢাকা চাঁদের আলো সরিয়েনিরলস
বিদায় বেলায় || Dipti Chakraborty
সমস্ত যাওয়ার মাঝেজেগে থাকে ফিরে আসার ইঙ্গিতডুবে যাওয়া সূর্য লিখে
বৃষ্টি || Dipti Chakraborty
মেঘ করলে বৃষ্টি নামেবিষন্ন শরীর জুড়ে শুধুই ঘামকরপুটে আশ্রিতা এক
হয়তো একদিন || Dipti Chakraborty
খুব ইচ্ছে করতো তোর উপার্জিত টাকায় শপিং করবোতোকে যখন বলতাম