ঘরে বসে কবি হালকা আঙুলে স্ক্রীনে টোকা দিচ্ছে,
ঝলকানি মনিটরে চোখ স্থির।
ফেসবুকের দুনিয়ায়
নীরবে সে পরিচিত নাম খুঁজছে,
তাদের হাসি এবং জীবনের টুকরো,
যাদের সাথে সে আর যোগাযোগ রাখে না,
এক ক্লিকে, সে তাদের জগতে প্রবেশ করে।
সে এখন এক নীরব পথচারী
কখনই লাইক বা মন্তব্য করে না।
গভীর রাতে নিঃশব্দে সে তার অতীতের আপডেটগুলি পর্যবেক্ষণ করে,
যেন একটি গল্পের বইয়ের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে
যা কখনও তার ছিল না।
ফটোতে এত উজ্জ্বল হাসি,
তবুও তার চোখ বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন।
অবচেতনভাবে সে তার অতীতের সাথে নিজের তুলনা করে
শুধু স্মৃতি আর শূন্যতার সধ্যে সে ফাঁক খুঁজে পায়,
যেখানে সময় স্থিব হয়ে আছে।
একের পর এক মনোরম ছবি,
ঈর্ষা নড়ে ওঠে তার মধ্যে, আত্ম-বিদ্রুপের স্পর্শে।
সে তাদের সুখকে হিংসা করে না,
কিন্তু সে আবার চায় এমন প্রাণবন্ত জীবন
এমনকি যদি তা শুধুমাত্র ক্ষণস্থায়ী বিভ্রম হয়,
সে শব্দ এবং ছবির আড়ালে লুকিয়ে থাকে।
প্রতিটি আপডেট তার নীরব ইচ্ছায় হয়
সে তার নিজের নির্জনতা দিয়ে অন্যের সুখ পূরণ করে।
যখন পর্দার আলো নিভে যায়, তখন তার ঘরটি নীরবতায় ভরে ওঠে,
এবং তিনি একজন নামহীন দর্শক হয়ে যান।