ত্রিধারা – 1
আমার মল্লিকা বনে,
যখন প্রথম ধরেছে কলি
আমার মল্লিকা বনে।
তোমারো লাগিয়া তখনি, বন্ধু
বেঁধেছিনু অঞ্জলি।
আমার মল্লিকা বনে, আমার মল্লিকা বনে,
যখন প্রথম ধরেছে কলি
আমার মল্লিকা বনে।
শীতের শেষ আকাশে বাতাসে বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে।বাইরে থেকে ভেসে আসছিল
রবি ঠাকুরের গানটা শুনতে শুনতেই
এমন এক সন্ধ্যায় বেজে উঠল মুঠোফোন। “পাগলা হাওয়া বাদল দিনে রিঙটোন।
ফোনটা কানে ধরে হ্যালো বলতেই ভেসে এল
চেনা সেই গলা।
কী মিষ্টি বৌদি ভাল আছ? খুব ভাল।
চিনতে পারছো?
চিনবো না কেন?
কে বল তো?
মিষ্টি উত্তর দিল আরে রূপম যে।
হ্যাঁ বৌদি পাগলা হাওয়া বাদল দিনে কলারটিউনটা খুব সুন্দর।
তুমি ও তোমার বাড়ির সবাই কেমন আছ?
হ্যাঁগো ভালো আছি।সবাই যে যার মত।
এবার সে গেয়ে উঠল,
চেনা শোনার কোন বাইরে যেথা পথ নাই নাই রে
সেখানে অকারণে যায়,ছুটে।
বাবারে হঠাৎ এমন আবেগ?
কি আর করব এই চলছে।
মানে?
ক্রমশ প্রকাশ্য।
বল ছেলে এখন কি পড়ছে?
এই তো ক্লাস নাইনে উঠেছে।
তারপর, বল তোমার খবর। কতদিন দেখা নেই,
কথা নেই।বাড়িতেও আস না আর।
হ্যাঁ বৌদি যাব একদিন,সময় করে।
তোমার সময়ের অপেক্ষায়।
বৌদি মেয়েটার ছবি দেখো।মেসেঞ্জারে পাঠাব।
কেন গো, কোন মেয়ে,কি হয়েছে?
হঠাৎ আমার সাথে একটা সম্পর্ক হয়েছে।
সে কি পড়ে?
আরে ডিভোর্সি মহিলা আটত্রিশ বছর বয়স।
আবার সম্পর্ক? কোথায় থাকে?
আবার যদি কেউ হৃদয়ে আসে,মন কি
মানে?থাকে উত্তরপাড়ায় ছেলেকে নিয়ে
নিজের ফ্ল্যাটে।
কি করে মহিলা? তোমার ছেলের বন্ধুর মা হয়?
না। আমার ছেলের চেয়ে ওর ছেলে বয়সে ছোট। আমি ওর ছেলেকে পড়াতে ওর ফ্ল্যাটে যাই।
ওর ছেলে তোমার স্কুলে পড়ে?
হ্যাঁ খুব ভাল ছেলে। মাঝে মাঝে ওর মাকেও
পড়াই।কাউকে বোল না প্লিজ। এই ক’দিন আলাপ
হয়েছে মাত্র।
কি বলছ তুমি!
হ্যাঁ গো।
মেয়েটা রাজি?
অনেকটাই রাজি। কাউকে বলনা প্লিজ।
না,না বলব কেন?
জানো বৌদি,
এখন আমি আমার ফ্ল্যাটে থাকি না।মায়ের
কাছে আমি ও ছেলে দুজনে থাকি।মাকে দেখাশোনা করতে হয়। মায়ের শরীরটা ইদানিং খুব খারাপ যাচ্ছে।
তোমার ছেলে তোমার নতুন সম্পর্কের কথা জানে?
হ্যাঁ কিছুটা। তাতে ছেলের কোনো আপত্তি নেই?
না তেমন কিছু নেই।
মহিলার ছবি পাঠিয়েছি দেখো।
দেখে বোলো কেমন?
বলেই রূপম ফোনটা কেটে দিল।