তোমার ওই চোখ দুটি তে এতো দুঃখ কেন? এমন মৌনতা ছুঁয়ে থাকো,
যেন মনে হয় অনন্ত আকাশের গভীরে নীল রঙের মতো ছড়িয়ে আছো!
তবে কি নীল আকাশের বুকে বজ্রনাদ কেঁপে উঠেছে?
দুঃখী নদীর বুক ছুঁয়ে চশমায় ঢাকা দুটি চোখ নীল অভিমান হয়ে জমে আছে চোখের তারায়!
একবিন্দু জল তোমার চোখের মৌনতা ছুঁয়ে গেল।
গাল বেয়ে নোনা উষ্ণতা ছুঁয়ে তোমার ঠোঁট, চিবুক,বুক বেয়ে নিঃশেষ!
এমন গভীর মৌন হয়ে থাকো ধ্যানস্থ পাহাড় যেমন,
প্রাজ্ঞ ঋষির মতো, কিংবা ওই প্রাচীন বটবৃক্ষের মতো ঝুড়ি হয়ে নেমে এসেছো আমার বুক জুড়ে!
নদী হয়ে না, নদীর বুকে কুলু কুলু শব্দে পাখির কলোতান হও!
নৈঃশব্দ্যের ধ্বনি হও! কবিতায় নয়, কবির কলমে প্রাঞ্জল ভাষা হয়ে ওঠো।
আওয়াজ নয়, সুর থেকে গান হয়ে ওঠো।
সরল কথার মতো জেগে থাকো সারাক্ষণ মুখের
হাসি টুকু নিয়ে,আরো কত শত দুঃখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা,সে তো একমাত্র বোকারাই করে। সুখ পাখিটির খোঁজে।
আকাশ থেকে দোয়া নেমে এসে আবারও উর্দ্ধগামী!
খুদা শুধু ইনসানকেই দুঃখ দেয়। দুঃখ না থাকলে সৃষ্টি হয় না।
গান হয় না, কবিতা হয় না, গল্প,উপন্যাস লেখা হয় না।
যারা শের লেখে তাদের শের আসে না।
কেউ যেন বলেছিল, “ইনসানোঁকো লিয়ে দর্দ্, খুদাহকি ইক্ বুঝ্দিল দোয়া হ্যায়”।।