রবি ঠাকুর পুণ্যজনম ধন্য তোমার সৃষ্টি
আত্মপ্রেমী বাঙালি পেল অনিন্দ্যতার কৃষ্টি ।
বৈশাখ মাসে পঁচিশ তারিখ জন্মিলে জোড়াসাঁকোতে
বিস্ময়কর প্রতিভা সমেত পথচলা শুরু আলোকে ।
শুভক্ষণে জন্মে তুমি হয়েছ ক্ষণজন্মা
প্রাত্যহিকী স্মরণে তব হলাম চির ধন্যা ।
নাটক গল্প উপন্যাসে উন্মুক্ত প্রজ্ঞান
তোমার লেখা প্রবন্ধ , সকল মনের পরম ধ্যান ।
বড় হতে হতে চিনেছি তোমাকে,পেয়েছি তোমার সুগন্ধ
“মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ” কেটেছে সর্ব দ্বন্দ্ব ।
তোমার গানেই প্রশ্বাস পড়ে হৃদয়ে হৃদির প্রস্তাপন
তুমি যে অলীক সুযোগ্যতায় সর্বশ্রেষ্ঠ আজ্ঞাপন ।
প্রানশক্তিতে ভরপুর তুমি বিশ্বব্যাপী নমস্য
পিছিয়ে পড়া বাঙালি মনের দূর করেছিলে তমস্র ।
নির্ভীকতায় দুর্জয় তুমি মুক্ত মনের পরিচয়
প্রতিবাদী হয়ে নাইট ত্যাগিলে ঘোঁচালে সকল সংশয় !
তুমি যে গিরি গগনচুম্বী, ঊর্ধ্বলোকের সুরবাহার
স্মরণে তোমাকে পূজিছে বাঙালি কাব্য গীতের সমাহার ।
নোবেল লাভে গর্বিত হই চরণে তোমার সমর্পণ।
তাইতো ঋণী তোমার কাছে প্রগাঢ় মনের প্রসর্পণ ।