জানুয়ারী মাসের বারো তারিখ,আঠারোশো তেষট্টি
ভুবনেশ্বরীর তপস্যায়,জন্ম নিলে শিশুটি।
ছোট্ট বিলে খেলার ছলে,বসেছিল গিয়ে ধ্যানে
সর্প ত্রাসেও বিঘ্ন হলো না,সত্যি ধ্যান যে মনে।
সেই চাঁপা গাছ ব্রহ্মদত্যি,ছোট্টবেলার পড়া
প্রখর সাহসী তোমার কর্মে,ধন্য বসুন্ধরা।
“ওঠো,জাগো,লক্ষ্যে পৌঁছাও” ডাক দিয়েছিলে তুমি
যোগ্য গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ,পূণ্য ভারত ভূমি।
তুমিই শেখালে জীবে প্রেম আর সাথে ফুটবল খেলা
যুব সমাজের শরীর গঠনে,নয় কোনো অবহেলা।
“নাহি সূর্য্য নাহি জ্যোতি”তোমার লেখায় প্রাণ
সাথে “খণ্ডন ভব বন্দন” আমাদের প্রিয় গান।
“সন্ন্যাসীর গীতি” “সখার প্রতি”কবিতাও কিছু কিছু
“কর্মযোগ” “পরিব্রাজক” বই ছিল বেশ কিছু।
“মানুষ হও,মানুষ গড়ো”তোমার বাণী ও করুণা
বিশ্বজয়ী সন্ন্যাসী তুমি যুবসমাজের প্রেরণা।
“হিন্দু ধর্ম সকলের সেরা”শিকাগো সভায় ব’লে
বিশ্ববাসীর মন জয় করে,সত্তম এলে চলে।
বেলুড়ের গ্রামে মঠের স্থাপন,রামকৃষ্ণ মিশন
উৎসর্গ করলে দেশের সেবায়,নিজের বাকী জীবন।
চৌঠা জুলাই উনিশশো দুই এ,বসেছিলে শেষ ধ্যানে
ইহলোক ত্যাগ করলেও তুমি,আছো আমাদের জ্ঞানে।
বাঙালীর তুমি উন্নত শির,সকল জাতির সাথে
তোমার চরণে প্রণাম জানাই,যুব দিবসের প্রাতে।