তোমার অসাধ্য কিছু নেই!
ছুঁচের ছ্যাঁদার ভেতর দিয়ে হাতি গলাতে তুমি পারো।
তুমিই কেবল পারো ;
তোমার ভক্তেরা বলে থাকেন,
আস্ত হাতিকে গলাতে পারো তুমি, অবলীলায়,
একটুখানি ছ্যাঁদার ভেতর দিয়ে।
আর আমি পারি।
আমিও পারি গলিয়ে দিতে -আস্তে-আস্তে।
কর্মের কৌশলই হচ্ছে যোগঃ
ছুঁচের ছ্যাঁদার ভেতর দিয়ে যোগাযোগ শ্রীমান হাতিরঃ
আমিও করতে পারি সুকৌশলে!
আমিও পারি ছুঁচের ভেতর দিয়ে গলিয়ে দিতে
হাতিকে হাতি-
যদি একবার মেরে ওকে লাট করতে পারি-
তুলোর মতন ধুনে পিঁজে নিয়ে পাট করতে পারি –
তারপর তক্ লির পিঁজরেয় ফেলে পাকিয়ে
সুতোয় লোপাট করে আনতে পারি একবার!
তখন সূচীভেদ্য সেই হাতিকে-
বা হাতির সূত্রাকারকে-
ছুঁচের ছ্যাঁদায় গলাতে আমার কতক্ষণ?
হাতি তো হাতি-স্বয়ং তুমি-তোমাকেও হাতে পেলে….
বুঝি সেই ভয়েই তুমি আমার হাত এড়িয়ে রয়েছো!
কিন্তু এড়াতে পেরেছো কি?
খোদ ব্রহ্মকেও সূত্ররূপে বানিয়ে টেনেছিলো কে একান্তে ?
টানাটানির তকলিফে-
সূত্রযজ্ঞের ছুতোয়-
ভূর্জপত্রের আওতায়-
সেই কি আহা আমার বাহাদুরিতে,
তোমার প্রথম সূত্রপাত নয়?
তোমার সেই শ্লোকান্তরলাভ?
ব্রহ্মসূত্র কার রচনা?
কস্য খোদকারি?
আমিই তো!