তারা ঠিক জানে আমার কিছুই নেই তবু আসে মাঝেমাঝে,
হয়তো কোথাও পোড় খেয়ে, পেইনকিলার নিতে; তাদের হৃদয়ে বাজে
হয়তো যন্ত্রণা; আমি জানতে চাই না; ভাসে, এসেই জড়িয়ে ধরে
অনেকেই, কেউ ডোবে আলিঙ্গনে, কেউ ওষ্ঠে, তাদের প্রচণ্ড ঠোঁট ভ’রে
মৌচাক; অনেকে গন্ধম মেলে দেয়, পাকা, কাঁচা, কম্পিত বোঁটায়
চেপে ধরে বিহ্বল ওষ্ঠ, কাঁপে, গলে, ভাসে, ফোঁটায় ফোঁটায়
ঝরে মধু ঝর্না থেকে; কেউ আবার সুদূরে হাত রাখে, মুখে ভ’রে নেয়,
পান করে ঘন দুধ, প্রশিক্ষিত, চোখ বুজে; নরকে আমাকে দেয়
স্বর্গের ভূমিকম্প; অনেকেই দূরযাত্রী, ফিজি থেকে হনুলুলু, সুদূর ভ্রমণ
চায়, আফ্রিকার বাঘিনীর মতো চায় ব্যাঘ্রের দৃঢ় দীর্ঘ আক্রমণ।
কেউ একবার এসেই হারিয়ে যায়, কেউ দু-বার তিনবার,
চট্টগ্রাম, নিউইয়র্ক, কার্ডিফ, হেসে, শ্রীমঙ্গল, বারিধারা, ধানমণ্ডি, সাভার
টেকনাফ থেকে; কেউ কাঁদে, কেউ মধ্যরাতে ফোন করে বিকেল বেলায়
আসবে ব’লে; কিন্তু আসে না; হয়তো আকস্মিক মধুর খেলায়
মেতে থাকে অন্য কোনোখানে। কেনো আসবে এখানে?
তারা যতোই ব্যর্থ হোক, দুঃক্ষ পাক, এমআর করুক, তবে ঠিক জানে
আমি ভবিষ্যৎহীন; যতোই বিদ্যুৎ দিই, তবুও পারি না কিছু দিতে,
তারা চায় পেট ভ’রে পুত্রকন্যা, নাচতে চায় সংসারসঙ্গীতে।
কেউ নম্বর দেয় গ্রামীণের, অ্যাকটেলের, টিঅ্যান্ডটির, কেউ চেপে রাখে
সব কিছু আমি জানতে চাই না, তারা, দয়াবতী, সবাই আমাকে
কিছু কিছু দেয়- স্বপ্ন, কল্পনা; কেউ ঢুকতেই একটি কবিতা ঢোকে সাথে;
যখন ঘুমের অভাব হয়, গড়াই শয্যায়, সেই ভয়ঙ্কর রাতে
মনে পড়ে কারো মুখ, কারো ঠোঁট, কারো ফল, কারো মধুর শিৎকার;
সবাইকেই ধন্যবাদ- দু-একজন হঠাৎ পংক্তি হয়ে ওঠে কবিতার।